করোনার সংক্রমণ রুখতে এবার বন্ধ রাখা হচ্ছে রাজ্য বিধানসভা। করোনা আতঙ্কে আপাতত বন্ধ থাকছে জাতীয় গ্রন্থাগারও। বুধবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। সোমবারই সর্বদলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ রুখতে সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা। ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই শেষ অধিবেশন বসবে। ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই করোনার আতঙ্কে কেরল, ছত্তীশগড় ও মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আগেই রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনেএকাধিক নিষেধাজ্ঞার কথা জানান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী অধিবেশন দেখতে আসা সাধারণের ঢোকাও বন্ধ করে দেওয়া হয় অধিবেশন কক্ষে। অধিবেশন চলাকালীন বহু স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ তা দেখতে আসেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেই তাঁদের অধিবেশনে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকায় কী করণীয়, তা নিয়ে সোমবারই আলোচনায় বসেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যেপাধ্যায়। সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে চলে বৈঠক। বৈঠকেই ঠিক হয় আগামী বুধবার থেকে আপাতত ২৬ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে বিধানসভার অধিবেশন।
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, ‘সচেতন নাগরিকরাই বিধানসভায় আসেন। সচেতনতার বার্তা দিতে স্যানিটাইজার রেখে অধিবেশন চালানো যেত। রাস্তায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের কী হবে?’ অন্যদিকে, কংগ্রেসের আবদুল মান্নান বলেন, ‘আতঙ্ক ছড়িয়ে লাভ নেই। বাসে-ট্রেনে ভাইরাস ছড়াবে না এই আশ্বাস কেউ দিতে পারবেন?’ মারণ করোনার সংক্রমণ রুখতে একজোটে পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এরই পাশাপাশি করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের জেরে বন্ধ রাখা হচ্ছে জাতীয় গ্রন্থাগারও। প্রতিদিন বহু মানুষ জাতীয় গ্রন্থাগারে আসেন। একসঙ্গে অনেক মানুষ একত্রিত হলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সতর্ক করার কাজ চলছে। সেদিকেই নজর দিয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Be the first to comment