করোনায় আক্রান্ত কলকাতায় কর্মরত বিএসএফের এক কনস্টেবল৷ একটি সরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে৷ সূত্রের খবর, গত ১২ মে আক্রান্ত বিএসএফ কনস্টেবলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ ১৬ মে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসে৷ তাতে দেখা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত৷
কলকাতায় বিএসএফের ক্যান্টিনে কর্মরত ছিলেন ওই কনস্টেবল। তার সংস্পর্শে আর কারা এসেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এমনটাই বিএসএফ সূত্রে খবর৷ এরআগে কলকাতায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা কয়েকজন বিএসএফ জওয়ান করোনা আক্রান্ত হয়৷ করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল৷
প্রথমে সেই দলের পাইলট কারের চালক করোনা আক্রান্ত হন৷ তারপর আরও ৫ বিএসএফ জওয়ানের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ পাইলট কারের চালকের সংস্পর্শে আসা ১৮ জন বিএসএফ জওয়ানের নমুনা পরীক্ষা করা হয়৷ সেই রিপোর্ট আসতেই জানা যায়, আরও ৫ জন বিএসএফ জওয়ানের শরীরে মিলেছে করোনা জীবানু৷ অর্থাৎ তাদের রিপোর্ট পজিটিভ৷ শুধু বিএসএফ জওয়ান নয় একের পর এক আক্রান্ত সিআইএসএফ জওয়ানও৷
গার্ডেনরিচের জাহাজ নির্মাণ কারখানায় কর্মরত ৩৮ জন জওয়ান আক্রান্ত৷ এরপরই করোনা আতঙ্কে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে গার্ডেনরিচের জাহাজ নির্মাণ কারখানায়৷ এমনটাই সূত্রের খবর৷ জানা গিয়েছে,আক্রান্ত জওয়ানদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের সনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়৷ কারখানার একটি অংশকে কটেনমেন্ট এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে এক সিআইএসএফ অফিসারের মৃত্যু হয় কলকাতায়৷ তিনি গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন৷ কিছুদিন আগে তার উপসর্গ দেখা দিলে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ তার লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে,সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু ঘটে।
তারপরেই ওই কারখানায় কর্মরত সব সিআইএসএফ বা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ এছাড়া ভারতীয় জাদুঘরে কর্তব্যরত সিআইএসএফ আধিকারিকের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়৷ তাঁর সংস্পর্শে আসা ৩৩ জন সিআইএসএফ জওয়ানকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়৷ কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় সিআইএসএফ এক আধিকারিকের৷ অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ওই জওয়ান ভারতীয় জাদুঘরে কর্মরত ছিলেন৷ তিনি পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দা৷
Be the first to comment