দেশে করোনায় আক্রান্ত ছাড়াল ১ লক্ষ, মৃত ৩ হাজারের বেশি

Spread the love

সোমবারেই ১লক্ষ ছাড়িয়ে গেল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। লকডাউন ৪.০ তে কিছুটা শিথিলতা আনতেই বেড়েছে সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা। এখন অবধি দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের।

বেশ কয়েকটি রাজ্য করোনভাইরাস থেকে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকায় বাজার, স্থানীয় পরিবহন এবং এমনকি সেলুনগুলি পুনরায় চালু করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে, স্কুল, কলেজ, থিয়েটার এবং মলগুলি বন্ধ থাকবে।

দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক করোনা সংক্রামিত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শনিবারই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ১৬০৬ জন মানুষ। যার জেরে মহারাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করে ফেলেছে ৩০ হাজারের গণ্ডি। দেশের মধ্যে এই রাজ্যেই করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

২৫ মার্চ থেকে যে লকডাউন শুরু হয়েছিল, তা শেষ হয় ১৪ এপ্রিল। এরপর সেই লকডাউন ফের বাড়ানো হয় ৩ মে পর্যন্ত। এরপর ১৭ মে পর্যন্ত আবার লকডাউন বাড়ানো হয়। এরপরে লকদাউন বাড়িয়ে করা হয়েছে মে মাসের শেষ অবধি।

এই ১৪ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নতুন গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হয়ে ৩১ মে পর্যন্ত নতুন এই নিয়ম চলছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী লকডাউনের চতুর্থ দফাতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জারি করা হয়েছে একাধিক বিধি নিষেধও। যেমন নাইট কার্ফু কড়া ভাবে মানার কথা বলা হয়েছে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে যে, সন্ধে ৭ থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ‘নাইট কারফিউ’ জারি থাকবে। জরুরি প্রয়োজন বাদে অনুমতি ছাড়া কখনই বেরনো যাবে না রাস্তায়, গাইডলাইনে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে| এক্ষেত্রে প্রয়োজনে ১৪৪ ধারায় জারি করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। সাধারণ মানুষ নাইট কার্ফুর নিয়ম না মানলে কড়া শাস্তি হতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*