শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন নিয়ে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, যাঁদের করোনার উপসর্গ নেই, একমাত্র তাঁরাই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ওঠার ছাড়পত্র পাবেন। এরই পাশাপাশি, এবার থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা না করে বিশেষ ট্রেন চালাতে পারবে না রেল।
পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন নিয়ে জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা। ওই নির্দেশিকা অনুয়ায়ী, পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে ওঠানো এবং স্টেশনে নামার পর তাঁদের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, বিশেষ ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর প্রয়োগ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে।
লকডাউনের জেরে দেশের একাধিক রাজ্যে লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক আটকে রয়েছেন। লকডাউনের জেরে রুজি-রোজগারের সংস্থান খুইয়ে ভিনরাজ্যে তাঁরা দারুণ সংকটে রয়েছেন। বাড়ি ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। অনেকেই রেলপথ ও সড়কপথ ধরে হাঁটতে শুরু করেছেন। এর জেরে গত কয়েকদিনে একাধিক পথ দুর্ঘটনায় বহু শ্রমিকের মৃত্যুও হয়েছে।
শ্রমিকদের সাহায্যার্থে লকডাউনের মধ্যেই ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেন চালু করেছে রেল। পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর জন্য বিশেষ ট্রেন চালু করতেই করতেই লক্ষ লক্ষ শ্রমিক নিজেদের রাজ্যে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন।
কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী এবার থেকে যদি কোনও শ্রমিকের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়, তবে তাঁকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে না। বরং ওই শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করানো ও তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসন।
Be the first to comment