রাজ্যের আক্রান্তের সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। একজনের থেকে অপর জনের দেহে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। আর সেই আশঙ্কাই এবার সত্যি হচ্ছে।
জানা গিয়েছে শেওড়াফুলির যে বাসিন্দা কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, এবার তাঁরই দুই আত্মীয়ের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁর ভাই ও ভাইপো, দুজনেই আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার সকালে তাঁদের শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল থেকে বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে আসা হয়। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গভীর রাতেই জানা গিয়েছিল শেওড়াফুলির ওই আক্রান্ত প্রৌঢ়ের ভাই ও ভাইপোও কোভিড-১৯ ভাইরাসের শিকার হয়েছেন। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা স্বীকার করে নেওয়া হল।
দুর্গাপুরের এক বেসরকারি কারখানার উচ্চ পদে ছিলেন শেওড়াফুলির করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। তিন মাস আগে অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তিনি সংস্থার অনুরোধে এক্সটেনশনে কাজ করছিলেন। এক্সটেনশনে থাকার সময় কলকাতা অফিসে কাজ করতেন। ওই বেসরকারি সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি দুর্গাপুরে আসেন। সেখান থেকে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় এই সংস্থার ইউনিটে সেফটি বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাতে ফিরে আসেন দুর্গাপুরে। সগড়ভাঙ্গার একটি হোটেলে রাত্রিবাস করেন। পরের দিন সংস্থার দুর্গাপুর ইউনিট ঘুরে বিকেলে ফিরে যান শেওড়াফুলি।
দুর্গাপুর থেকে ফেরার প্রায় দিন ১২ পর জ্বর হয় আক্রান্ত ব্যক্তির। শনিবার তাঁকে ভরতি করা হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সোয়াব পরীক্ষায় ধরা পড়ে তিনি করোনা পজিটিভ।
অন্যদিকে, আলিপুর কমান্ড হাসপাতালের যে চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর থেকেও তিনজনের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে, পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। পাশাপাশি কমান্ড হাসপাতালেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত চিকিৎসককে। তার পরিবারের সব সদস্যের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
লালা রস পরীক্ষায় তিন জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। নতুন করে করোনা আক্রান্ত ওই তিনজনকেই কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
দপ্তর। ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
Be the first to comment