এবার করোনা হানা আইন মন্ত্রকে। আইন মন্ত্রকের এক আধিকারিক করোনা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে সিল করা হয়েছে শাস্ত্রী ভবনের একাংশ। মঙ্গলবার সকালেই ভবনটির একটি তলা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই তলাটি স্যানিটাইজ করা হবে। শাস্ত্রী ভবনের চতুর্থ তলায় রয়েছে আইন মন্ত্রকের দফতর। আইন মন্ত্রকের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক করোনা ছড়িয়ে পড়ার তথ্য দেন।
গত মাসে নীতি আয়োগের অফিসও সিল করা হয়েছে। নীতি আয়োগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক করোনা আক্রান্ত। এই খবর প্রকাশিত হতেই নীতি আয়োগের দফতর বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৪৮ ঘন্টার জন্য দফতর বন্ধ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ৪৮ ঘন্টায় গোটা বিল্ডিং স্যানিটাইজ করা হয়।
সূত্র জানাচ্ছে ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। নীতি আয়োগের ডেপুটি সেক্রেটারি(অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) অজিত কুমার জানিয়েছেন, পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত ও স্যানিটাইসেশন করার জন্য বিল্ডিংটি পুরোপুরি বন্ধ করা সহ প্রয়োজনীয় আরও নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে।
প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবারও ছবিটা আলাদা কিছু নয় তবে আরও বেশ কিছুটা ভয়ঙ্কর। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৯৫ জন এবং সংক্রমিত ৩,৯০০ জন।
মঙ্গলবার জানান গিয়েছে, ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬, ৪৩৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫৬৮ জনের। এখনও অবধি সুস্থ হয়েছেন ১২,৭২৭ জন। বেড়েছে সুস্থতার হার যা বর্তমানে ২৭.৪ শতাংশ, তেমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
তৃতীয় দফার লকডাউনে দেশের অনেকাংশে বিধিনিষেধ বেশকিছুটা হালকা হয়েছে। মার্চ ২৫ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের তৃতীয়দফার দ্বিতীয়দিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এবং মৃত্যু সামনে এসেছে। সোমবার দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত ২৫৫৩ জন।
দেশের মধ্যে সর্বাধিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা রয়েছে মহারাষ্ট্রে। এরপরেই রয়েছে গুজরাত ও তারপরে আক্রান্তের তালিকায় নাম রয়েছে রাজধানী দিল্লির।
Be the first to comment