গার্ডেনরিচ, প্রগতি ময়দান থানার পর এবার করোনা আক্রান্ত বউবাজার থানার শীর্ষ আধিকারিক৷ ভর্তি ই এম বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ তাঁর সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদেরকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে৷ করোনা যুদ্ধে সামনের সারিতে যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম যোদ্ধা পুলিশ৷ সেই যোদ্ধারাই এখন আক্রান্ত৷ একের পর এক পুলিশ আধিকারিকের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷
শুধু পুলিশই সামনের সারিতে থাকা চিকিৎস,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীসহ একাধিক যোদ্ধা৷ এদিকে বউবাজার থানার শীর্ষ আধিকারিকের করোনা আক্রান্তের খবর আসতেই, বউবাজার থানা এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে৷ শীর্ষ আধিকারিকের সংস্পর্শে যারা এসেছিল,তৈরি হচ্ছে তাদের তালিকা৷ ইতিমধ্যেই তাঁর সংস্পর্শে আসা ওই থানার গাড়ির চালক, নিরাপত্তারক্ষী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে৷
বউবাজার থানার পাশেই রয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা৷ সেখানকার কেউ তার সংস্পর্শে এসেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এর আগে প্রগতি ময়দান থানার ওসি ও তাঁর স্ত্রী দু’জনই করোনা আক্রান্ত হন। তাঁরা দুজনেই বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারপর গোটা থানাকে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। কোয়রান্টিনে পাঠানো হয় ওই পুলিশ আধিকারিকের গাড়ির চালক এবং দেহরক্ষীকে।
গত বৃহস্পতিবার তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় তাঁর স্ত্রীর নমুনাও। শনিবার রাতে সেই রিপোর্ট আসে। দেখা যায় তিনি এবং তাঁর স্ত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ। ওই অফিসার হেয়ার স্ট্রিট থানার পাশে কলকাতা পুলিশের আবাসনে থাকেন। তাঁর থানা এলাকার মধ্যেই কোভিডে মৃতদের সৎকার করার জায়গা।
তার আগে গার্ডেনরিচ থানার ওসি আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে। তিনি এখন সুস্থ হয়ে বাড়িতে। জোড়াবাগান থানার এক সাব ইনস্পেক্টরও করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। এর আগে কলকাতা উত্তর ডিভিশনের এক পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়ে ছিলেন। তিনিও রোগমুক্ত।
Be the first to comment