আরও ৩ করোনা পজিটিভ কলকাতার বালিগঞ্জে

Spread the love

কলকাতার আরও তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেল। বালিগঞ্জের যে যুবকের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, রবিবার তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট এসেছে পজ়িটিভ। এই তিন জন হলেন, ওই যুবকের বাবা, মা ও পরিচারিকা।

তিন দিন আগে ওই যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা শুরু হয়। তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন, এমন ১১ জনকে শুক্রবার পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছিল রাজারহাটের আইসোলেশন সেন্টারে। কিন্তু এঁদের মধ্যে তিন জনের শরীরে সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দেয়। তাই দেরি না করে শনিবার ওই তিন জনকে অর্থাৎ যুবকের বাবা, মা ও পরিচারিকাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। তার পর ফের তাঁদের লালরসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিন জনের রেজাল্টই পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ওই যুবক ও তাঁর পরিবার দায়িত্বশীল আচরণ না করার জন্যই সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

গত ১৩ মার্চ বালিগঞ্জের এই যুবক লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন। বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে কোনও উপসর্গই ধরা পড়েনি তাঁর শরীরে। কিন্তু কয়েক দিন পর তাঁর শরীরে সর্দি, জ্বর সহ নানা উপসর্গ দেখা যায়। তার পরেও বিষয়টি তিনি অবহেলা করেন বলে অভিযোগ। এও জানা যায়, তাঁর বাবার দোকানে গিয়েও তিনি কিছুক্ষণ বসেছিলেন। দোকানের কর্মচারীদের সংস্পর্শেও আসেন তিনি। তা ছাড়া বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গেও দেখা করেন। শরীরের উপসর্গ বাড়লে তবেই তিনি বেলেঘাটা আইডিতে চেক আপের জন্য যান। তার পর তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় পুণের নাইসেডে। রিপোর্ট আসে পজিটিভ। জানা যায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছিলেন, কমবেশি ১১ জনের সংস্পর্শে এসেছেন তিনি। তার মধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যরা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন বাড়ির পরিচারিকা, গাড়ির চালক, দোকানের কর্মী সহ অনেকে। তাঁদের সবাইকেই তাই পর্যবেক্ষণে রাখা শুরু হয়।

এদিন তিন জনের রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন। কারণ, সামাজিক সংস্পর্শের কারণে গতকাল দমদমের এক ব্যক্তির শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। সামাজিক সংস্পর্শের কারণে কলকাতায় সংক্রমণ আরও বাড়ল। উদ্বেগের বিষয় এই যে এই চার জনের সংস্পর্শে আবার কত জন এসেছিলেন। এখন তাঁদেরও খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*