বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫ জন। মোট আক্রান্ত ৩৯ জন। কয়েকজন সুস্থ হয়েছেন। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আর কারও দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। ফলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবে এখন ৩৯ জন।
সর্বশেষ যিনি করোনায় মারা গেছেন তিনি বিদেশ থেকে আসা এক রোগীর পরিবারের সদস্য। মৃত ব্যক্তি একজন পুরুষ এবং বয়স ৬৫ বছর। তার ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন ছিল। ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রাখা হয়েছিল তাঁকে।সরকার নতুন করে করোনা সংক্রমণ হয়নি বললেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা( হু) জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ প্রবল হতে পারে।
ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী ভারতে এই ভাইরাস সংক্রমণের মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্য়াও বেড়েছে। তবে ভারত সরকার টানা লকডাউন শুরু করায় সেই সংক্রমণ ছড়ানোর হার কমবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
বিতর্ক বাড়ছে, আতঙ্ক আরও প্রবল। সেই সঙ্গে বাড়ছে করোনা রোগী। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ গণস্বাস্থ্য পরিষেবা ইতিমধ্যে প্রবল চাপের মুখে। ভিড় রাস্তায়। যে কোনও সময় করোনা ভাইরাস মহামারি আকার নিতে চলেছে বলেই আশঙ্কা। এদিকে করোনা সংক্রমণের মাঝে উপনির্বাচন কেন করানো হলো, তার কোনও সদুত্তর নেই সরকারের কাছে।
প্রতিবেশী ভারতের করোনা পরিবেশ চিন্তাজনক হওয়ায় সেখানে শুরু লকডাউন। এবার সেই পথেই বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার থেকে জারি হচ্ছে লকডাউন। তবে এতো দেরি করে কেন এই পদ্ধতির প্রয়োগ তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে শেখ হাসিনার সরকার। হু আগেই জানিয়েছে, তীব্র করোনা ঝুঁকির মুখে দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশ। এদিকে করোনা সংক্রমণের মাঝেও প্রবল ভিড়ে বাস ট্রেন ধরার টিকিট কাটায় আরও সংক্রমণের আশঙ্কা। সব পরিস্থিতি সংক্রমণ ছড়ানোর অনুকুল বলেই মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment