বাংলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৪, এমনটাই তাদের বুলেটিনে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রবিবার সকাল ৮টার বুলেটিনে এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টার বুলেটিনে জানানো হয়েছিল এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৬। অর্থাৎ এক রাতে বাংলায় ৮জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৫। ইতিমধ্যেই ১৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা অ্যাকটিভ কেস ১১০।
অন্যদিকে শনিবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আকটিভ কেসের সংখ্যা ৯৫। অর্থাৎ রাজ্যের তুলনায় কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে করোনা অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৫ বেশি। অবশ্য গতকাল বিকেলের পর থেকে এখনও রাজ্যের তরফে কোনও আপডেট দেওয়া হয়নি। যদিও মৃতের সংখ্যা রাজ্য ও কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে একই রয়েছে।
বাংলায় করোনাভাইরাসে কতজন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃতের সংখ্যাই বা কত তা নিয়ে গোড়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। বিরোধী শিবিরের অনেকের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, তার সঙ্গে রাজ্যের পরিসংখ্যানের ফারাক হচ্ছে। তাঁদের এও অভিযোগ, মৃত ও আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে। এবং এই সেই কারণেই এখন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ল্যাবরেটরি নাইসেডে বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না।
শনিবার বিরোধীদের এই অভিযোগের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক ফেক নিউজ হচ্ছে। আমি আজকে প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি। ওদের কাছে ভিডিও আছে, দরকার হলে ক্রস চেক করে নিতে পারেন।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ওষুধে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা সাড়া দিচ্ছেন। কিছু ক্ষেত্রে রেকারিং প্রবলেম নিয়ে আসছেন। তাঁদের হয়তো নিউমোনিয়া রয়েছে, ব্রঙ্কো নিউমোনিয়া রয়েছে বা অন্য কোনও কঠিন অসুখ রয়েছে। কারও বা মৃত্যুর সময়ে কিংবা মৃত্যুর পর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসছে। আমরা সেগুলোকে অডিট কমিটির কাছে পাঠাচ্ছি। সেই কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরই আমরা মৃতের সংখ্যা বলছি।” মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “দুটো-একটা নম্বর (পড়ুন মৃতের সংখ্যা) বাড়লে বা কমলে কী যাবে আসবে! কিন্তু আমরা তথ্য গোপন করি না।”
Be the first to comment