তিনদিন পর, বুধবার রাজ্যের কোভিড গ্রাফ খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার তা ফের সামান্য নামল। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে কোভিড পজিটিভ ৯৮। তবে মৃত্যুর হার বেড়েছে। একদিনে রাজ্যে করোনার বলি ২ জন।
এদিকে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় হোলির দিন কোভিডবিধিতে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৭ তারিখ নাইট কারফিউ অর্থাৎ রাত ১২ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে মুখ্যসচিব নয়া নির্দেশিকা জারি করে এই ছাড় দিয়েছেন। তাতে খুশি রাজ্যবাসী। এমনিতে রাজ্যে ১৫ মার্চ পর্যন্ত কোভিডবিধি জারি থাকছে।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জন মহামারী থেকে সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার ৯৮.৮৭ শতাংশ। একদিনে রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১,৫১৯। এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট মাত্র ০.৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট ০.৪৬ শতাংশ, যা বুধবারের তুলনায় কম। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা পজিটিভের সংখ্যা ২০,১৬,১৯২। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯,৯৩, ৪৬৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১,১৮৪ জনের।
২০২০ সালের মার্চে করোনা থাবা বসিয়েছিল বাংলায়। লাফিয়ে বেড়েছিল সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘরবন্দি হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। বাংলার ছবিটাও একই ছিল। পরবর্তীতে পরিস্থিতি খানিকটা আয়ত্তে আসতে ফের জনজীবন স্বাভাবিক হতেই বেড়েছে সংক্রমণ। তবে বারবার কড়াভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই তৃতীয় ঢেউ কাটিয়ে অতি দ্রুত গতিতে সুস্থ হয়ে উঠেছে বাংলা। জুনে আবার চতুর্থ ঢেউ আসার আশঙ্কা শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগে অবশ্য এই পরিসংখ্যান বেশ স্বস্তি দিচ্ছে।
করোনা যুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। একদিনে ৯৩, ৪৬৪ জন করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এছাড়া প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিয়ে এই সংখ্যাটা অনেকটা বেশি। বেশিরভাগ রাজ্যবাসীকেই টিকা দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
Be the first to comment