সদ্যই ব্রিটেন ফেরত এক তরুণীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট মিলেছে। যদিও তিনি করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। তারই মাঝে ফের রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ। একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল করোনা সংক্রমণ। বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও। যা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সবার।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৮জন। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। কলকাতাতেও ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ। মহানগরীতে ২০৬ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের হদিশ। তারপরই রয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলাতেই বেশ খানিকটা করে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার ফলে বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লক্ষ ২১ হাজার ৯৯৮ জন। মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে কিছুটা। শুক্রবার করোনার বলি ৯ জন। তার ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ৫৮৪ জন। অ্যাকটিভ কেস ৭ হাজার ৫৭৪ জন। পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়াল ১.৬৪ শতাংশ।
তবে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে ঠিকই, তেমনই আবার বেড়েছে সুস্থতার হার। এদিন করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬১০ জন। তার ফলে করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৪০ জন। যা স্বাভাবিকভাবেই ভরসা জোগাচ্ছে প্রায় সকলকেই। এদিন ৩৮ হাজার ২৭৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫০ জনের কোভিড টেস্ট হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় হাতিয়ার টিকাকরণ। তাই জোর দেওয়া হয়েছে টিকাকরণে। এদিন রাজ্যজুড়ে মোট ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৯৬ জন কোভিড টিকা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ হাজার ৫১১ জন প্রথম ডোজ এবং বাকি ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৮৫ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
করোনার দাপট সামলে বেশ খানিকটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিল গোটা দেশ। এরই মাঝে ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার ওমিক্রন স্ট্রেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ২৫ জন করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্ত। তাঁরা সকলেই মৃদু উপসর্গযুক্ত। তাই এই মুহূর্তে সমস্ত করোনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সামান্য অসাবধানতাও বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেই মত তাঁদের।
Be the first to comment