নোবেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই রাজ্যে প্রথম মৃত্যু। সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে মৃত্যু হল দমদমের ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির। গত ১৬ই মার্চ শ্বাসকষ্ট নিয়ে আমরি হাসপাতালে ভর্তি হন ওই ব্যক্তি। এরপর গত উনিশে মার্চ থেকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাকে। গত কয়েকদিন প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল ওই প্রৌঢ়ের। রাখা হয় ভেল্টিলেশনে। কিন্তু শেষমেষ সোমবার দুপুরে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা যাচ্ছে, নিয়ম মেনে পরিবারকে দেওয়া হবে না দেহ। জানা যাচ্ছে, এই ব্যক্তি গত কয়েকদিন আগে বিলাসপুর থেকে রাজ্যে ফেরেন। বাড়িতে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেসে কলকাতায় ফেরেন তিনি। প্রবল শ্বাসকষ্ট হওয়ায় সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিবারের আরও তিন সদস্য এমআরবাঙ্গুর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তাদের কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সল্টলেক আমরি হাসপাতালের তরফে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যক্তির দেহ ডিস্পোজাল করা হবে। ইতিমধ্যেই মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আগে যারা এসেছিলেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়ার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা তো বটেই, রাজ্যে ফেরার পর আর যাদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির সাক্ষাৎ হয়েছিল তাদের ব্যাপারেও বিস্তারিতভাবে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্যদফতর।
এই মুহূর্তে দেশে কোরনায় মৃত বেড়ে আট। সোমবার দুপুরে সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দমদমের এই ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী, মা ও শাশুড়ি এই মুহূর্তে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল এর আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ক্রমেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ভয়াল করোনা। সোমবার সকালে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আরও তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে. এদের মধ্যে একজন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। তিনি এক শ্রমিক বলে জানা যাচ্ছে। আরও একজন নাগেরবাজারের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। তিনি এক প্রৌঢ়।
ইএম বাইপাস সংলগ্ন রুচিরা আবাসনের বিদেশ ফেরত এক বাসিন্দাকেও করণা আক্রান্ত সন্দেহে আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন সকালে ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ডে এক যুবককে অসুস্থ হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়. জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ওই যুবক. তড়িঘড়ি সেই যুবককে উদ্ধার করে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Be the first to comment