রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত আরও দুই। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭। জানা গিয়েছে, একজনের বয়স ৭৬ এবং অন্যজনের বয়স ৫৬। দুজনেই হাসপাতালের কোয়ারেনটাইনে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে একজন বৃদ্ধা এবং অন্যজন আরও এক মহিলা বলে জানা যাচ্ছে। দুজনেই দিঘার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে দুজনেই করোনা সংক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। তবে বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস তাঁদের নেই। এই মুহূর্তে দুজনেরই চিকিৎসা চলছে বেলেঘাটা আইডিতে। নতুন করে দুজনের আক্রান্ত হওয়ার খবরে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, রাজ্যের দশম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অর্থাৎ নয়াবাদের ব্যক্তি এগরার বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে এনারাও ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেখান থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঠিক পরিষ্কার হচ্ছে না। সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি করোনায় আক্রান্ত নয়াবাদের বৃদ্ধার। গত কয়েকদিন ধরে বাইপাশের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই বৃদ্ধের। জানা যাচ্ছে, ডাক্তারদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কিছুটা হলেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। যদিও এই মূহুর্তে ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন ওই বৃদ্ধ। কোনও ভাবেই ডাক্তাররা রিস্ক নিতে চান না। আর তা চান না বলেই সর্বক্ষণ নজরে রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়েই বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ডাক্তারদের সন্দেহ হওয়াতে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। নাইসেডে করোনা পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে এই ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের কোনও রেকর্ড নেই। কিন্তু তিনি মেদিনীপুর তার এক আত্মীয় বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বেশ কয়েকজন বিদেশি অতিথি। ইতিমধ্যে ওই বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
Be the first to comment