চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট, ভারতে ‘XE’ এলে কতটা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে?

Spread the love

দেশে নিম্নমুখী করোনার গ্রাফ। মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ববিধি ছাড়া বাকি সমস্ত করোনাবিধিই প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে এরইমাঝে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এক্সই নামক ওই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে ব্রিটেন, থাইল্যান্ড ও নিউজ়িল্যান্ডে। বুধবার মুম্বইয়েও ছড়িয়ে পড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্ক। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভারতে এখনও করোনার এক্সই ভ্যারিয়েন্ট প্রবেশ করেনি। তবে আগামিদিনে যদি ভারতে ঢুকে পড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, তাহলে কী হবে?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্টই হয়তো করোনার সবথেকে সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট হতে পারে। প্রাথমিক যে তদন্ত পাওয়া গিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে এক্সই ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ.২-র তুলনায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক হতে পারে। আপাতত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অংশ হিসাবেই এক্সই ভ্যারিয়েন্টকে গণ্য করা হচ্ছে। এই মিউটেশন সম্পর্কে জানার জন্য় ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে অতিরিক্ত তথ্য জানা প্রয়োজন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এক্সই ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ অনেকটা ওমিক্রনের মতোই। এর প্রধান উপসর্গগুলি হল জ্বর, গলা ব্যাথা, গলা চুলকানো, সর্দি-কাশি, ত্বকে চুলকানি বা রঙ বদলে যাওয়া এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনালের সমস্যা। এক বা একাধিক এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

চলতি বছরের গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে প্রথম এক্সই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ মেলে। এখনও অবধি ৬৩৭ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এক্সডি, এক্সই ও এক্সএফ- এই তিনটি ভ্য়ারিয়েন্টের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। এরমধ্যে এক্সডি ভ্যারিয়েন্টটি ওমিক্রনের বিএ.১ ভ্যারিয়েন্টের হাইব্রিড ধরণ। এক্সএফ ভার্শন ডেল্টা ও বিএ.১-র মিশ্রণ।

তুলনামূলকভাবে এই ভ্যারিয়েন্টটি নতুন হওয়ায়, এক্সই ভ্যারিয়েন্ট যে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে, তার স্বপক্ষে এখনও কোনও তথ্য জানা যায়নি। তবে ওমিক্রনের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলি গুরুতর আকার ধারণ না করায়, এই ভ্যারিয়েন্টটিও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে না বলেই মনে করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক্সই ভ্যারিয়েন্ট, ওমিক্রনের বিএ.১ ও বিএ.২ স্ট্রেনের সংমিশ্রণে তৈরি “রিকম্বিন্যান্ট” মিউটেন্ট। উল্লেখ্য, রিকম্বিন্যান্ট মিউটেশন তখনই হয়, যখন একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি একাধিক ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হন। দুই বা ততোধিক ভ্যারিয়েন্টের জেনেটিক পদার্থ মিশ্রিত হয়েই নতুন মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হয়।

এক্সই ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ নিয়ে তিনি বলেন, “ওমিক্রনের মতোই এক্সই ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ, অর্থাৎ জ্বর, গা-হাত পা ব্যাথা। এই ভ্যারিয়েন্টকে ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলা হলেও, ওমিক্রনেরই অংশ হওয়ায়, রোগ গুরুতর আকার ধারণ করবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।”

সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা এখনও করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ় বা প্রিকশন ডোজ় নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিন। কেন্দ্রের কাছেও আর্জি জানাচ্ছি যে দ্রুত যেন ১৮ উর্ধ্ব সকলকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*