মালদার ১৭০ নম্বর বুথে করোনা সংক্রমিত আশাকর্মী ভোটের কাজে নিযুক্ত বলে অভিযোগ। সংক্রমিত হওয়া সত্ত্বেও জোর করে ওই আশাকর্মীকে ডিউটিতে পাঠিয়েছেন বিডিও, এমনটাই অভিযোগ করছেন অন্যান্য আশাকর্মীর। যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিও।
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে কমিশনের বক্তব্য, ওই আশাকর্মী সংক্রমিত জেনে গতকালই অন্য একজনকে তাঁর পরিবর্তে ভোটের ডিউটির জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপরেও সংক্রমিত ওই আশাকর্মী আজ কীভাবে ভোটের ডিউটি করছেন, তা কমিশন জানতে চেয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, সংক্রমিত আশাকর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা সম্ভবত তাঁর কাছে সময়মতো পৌঁছায়নি।
করোনা আবহেই চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব। আজ শেষ দফা। ইতিমধ্যেই সংক্রমণের গ্রাফ সমস্ত রেকর্ড ভেঙেছে। এই পরিস্থিতিতে নির্দেশমতো ভোটের প্রচারে মিটিং-মিছিল বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে কমিশন। সাধারণ মানুষ যাতে করোনাবিধি মেনে চলেন তার জন্য কমিশনকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি ভোটের সময়ে করোনাবিধি মেনে নির্বাচন কর্মসূচি চালাতে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।
যদিও রাজ্য জুড়ে করোনাবিধি ভঙ্গের একাধিক ছবি সামনে এসেছে। এরপর মাদ্রাজ হাইকোর্টের তিরস্কারের পর টনক নড়ে কমিশনের। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ নয় বলে নির্দেশিকা জারি করে কমিশন। পাশাপাশি জানানো হয়, নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হবে না প্রার্থী ও এজেন্টদের।
গণনার দিন সংক্রমণ রুখতে গাইডলাইন কমিশনের গাইডলাইন
- নেগেটিভ রিপোর্ট না থাকলে নিতে হবে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ।
- গণনা শুরুর ৪৮ ঘণ্টার আগে করাতে হবে করোনা টেস্ট।
- আরটিপিসিআর বা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করবেন জেলাশাসক। গণনা শুরুর ৪৮ ঘণ্টার আগে পেতে হবে দুটি টিকার শংসাপত্র।
- কাউন্টিং এজেন্টদের জন্য গণনা কেন্দ্রে রাখতে হবে যথেষ্ট পিপিই কিট’।
- দু’জন এজেন্টের মাঝে বসলে একজনকে পিপিই কিট পরতে হবে।
- গণনা কেন্দ্রের কর্মীদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস-শিল্ড. গ্লাভস বাধ্যতামূলক।
- গণনার সময় গণনা কেন্দ্রের বাইরে কোনও জমায়েত বরদাস্ত নয়।
- করোনা বিধি মেনে গণনা কেন্দ্রে সব ব্যবস্থার শংসাপত্র দেবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
Be the first to comment