করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা ধীরে ধীরে সামলে উঠতে শুরু করেছে দেশ। দৈনিক সংক্রমণের গড় নিম্নমুখী। কিন্তু এরই মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃতীয় ঢেউ ৬ মাসের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। আর সেই ভয় আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে এসবিআইয়ের রিপোর্ট । রিপোর্টে বলা হচ্ছে, তৃতীয় ঢেউ যদি আসে, তবে তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতোই ভয়ঙ্কর হবে । প্রায় ৯৮ দিন ধরে চলবে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটা কম হবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। দ্রুত টিকাকরণ এবং উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কারণেই মৃত্যু অনেকটা কম হবে তৃতীয় ঢেউয়ে।
উন্নত দেশগুলিতে গড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ১০৮ দিন ছিল এবং তৃতীয় ঢেউ ছিল ৯৮ দিন। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত যে যে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ এসে পড়েছে, সব জায়গাতেই তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতোই ভয়ঙ্কর হয়েছে। তবে রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, যদি তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য আগে থেকে প্রস্তুত থাকা যায়, তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
উন্নত দেশগুলিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের তুলনা করে দেখা গিয়েছে, দ্রুত টিকাকরণ ও উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মাধ্যমে সঙ্কটজনক রোগীদের সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ নামিয়ে আনা সম্ভব। মৃত্যুও ১.৭ লাখ থেকে কমিয়ে ৪০ হাজারে নেমে এসেছে।
করোনার সঙ্কটময় পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে টিকাকরণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তাও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হচ্ছে, “টিকাকরণকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষত শিশুদের টিকাকরণের দিকে জোর দিতে হবে, যেহেতু তৃতীয় ঢেউয়ে তাদের সবথেকে বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা । ১২-১৮ বছর বয়সি প্রায় ১৫-১৭ কোটি শিশুর টিকাকরণ নিশ্চিত করতে হবে । উন্নত দেশগুলির মতো ভারতকেও করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে সঠিক পরিকল্পনা করে নেওয়া উচিত । “
Be the first to comment