আবারও রাজ্যে বাড়ল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ। বুধবার নবান্নের তরফে জানানো হল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধ জারি থাকবে। তবে এখনও লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হল না। তার ফলে চলতি মাসের শেষপর্যন্ত আমজনতার জন্য চলবে না লোকাল ট্রেন।
এমনিতে আপাতত পশ্চিমবঙ্গে মোটের উপর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সংক্রমণ লাগামছাড়া না হলেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৮০০-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কলকাতা-সহ কয়েকটি জেলায় সংক্রমণ বেড়েছে। যা পুজোর আগে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। সেই পরিস্থিতিতে পুজোর আগে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিলের পথে হাঁটেনি রাজ্য। বুধবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত যা যা বিধিনিষেধ আছে, তা আরও ১৫ দিন কার্যকর থাকবে অর্থাৎ আমজনতার জন্য লোকাল ট্রেনের চাকা গড়াবে না। রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত গতিবিধিতে নিয়ন্ত্রণ থাকবে।শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা, আইন-শৃঙ্খলা এবং কৃষিকাজের সামগ্রী-সহ অন্যান্য জরুরি সামগ্রীর ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে।
একনজরে দেখে নিন কী কী নিয়মবিধি থাকছে –
১) স্কুল, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র-সহ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২) রাজ্যের মধ্যে বাস, অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব, ট্রাম এবং জলপরিবহন চালু থাকবে। সর্বাধিক ৫০ শতাংশ যাত্রী উঠতে পারবেন। চালক এবং কর্মীদের টিকা নিতে হবে।
৩) লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে।
৪) সাধারণ যাত্রীদের জন্য সপ্তাহে পাঁচদিন মেট্রো চলাচল করবে। শনিবার এবং রবিবার বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা।
৫) সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত প্রাতঃভ্রমণ এবং ব্যায়ামের জন্য পার্ক খোলা থাকবে। শুধুমাত্র টিকাপ্রাপ্তরা ঢুকতে পারবেন।
৬) আগে সব দোকান এবং বাজার (অত্যাবশ্যকীয় এবং অনাবশ্যকীয় দোকান) দোকান যেমন খোলা হত, তেমনভাবেই খোলা যাবে। অর্থাৎ সাধারণ সময়েই দোকান রাখা যাবে।
৭) এবার থেকে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৪ টে পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা রাখা যাবে।
৮) আগে যেমন খোলা থাকত, সেই সময় হোটেল, শপিং মল এবং ক্লাবের রেস্তোরাঁ ও পানশালা খোলা যাবে। তবে রাত আটটার পর রেস্তোরাঁ ও পানশালা খুলে রাখা যাবে না।
৯) শপিং মল এবং মার্কেট কমপ্লেক্সের খুচরো দোকান সাধারণ সময় যেমন খোলা থাকত, তেমনই খোলা রাখা যাবে। তবে ৫০ শতাংশ লোকবল থাকবে। একই সময় সর্বাধিক ৫০ শতাংশ ক্রেতা বা মানুষ ঢুকতে পারবেন।
১০) সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা এবং বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত জিম খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন।
১১) সাধারণ সময়মতো সেলুন, বিউটি পার্লার খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন।
১২) তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র ও সেই সংক্রান্ত সহায়ক ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে কর্মীদের করোনাভাইরাস টিকা নিতে হবে। মেনে চলতে হবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি। একই নিয়ম প্রয়োজ্য হবে কারখানা এবং মিলের ক্ষেত্রে।
১৩) ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনস্থ স্মৃতিস্তম্ভ এবং বিনোদনমূলক পার্ক খোলা রাখা যাবে।
Be the first to comment