সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্যে লাফিয়ে নামল কোভিড গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯১০ জন। যা রবিবারও ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার। তবে মৃত্যুর হার চিন্তায় রাখছে। একদিনে বঙ্গে করোনার বলি ৩৬ জন। বরাবরই এই সংখ্যা ৩০-এর বেশি। ফলে সংক্রমণ কমলেও সেই তুলনায় মৃত্যুর হারে হ্রাস না থাকায় চিন্তা জারি। সংক্রমণের নিরিখে এবার কলকাতাকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পজিটিভিটি রেট ৫.৪৯ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে রাজ্যে এতদিন দফায় দফায় জারি ছিল কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আর রাজ্যের নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ এই বিধিনিষেধেরই সুফল বলে মনে করছে স্বাস্থ্যমহল। গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারীর কবলমুক্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৭২৭ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৬৮ শতাংশ। একদিনে রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪,৮১৭, যার মধ্যে ৫.৪৯ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ।
এবার আসা যাক জেলাগুলির কোভিড পরিসংখ্যানে। কলকাতাকে পেরিয়ে দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় একদিনে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ২৩৩ জন। কলকাতায় সংখ্যাটা ১৭৯। সংক্রমণের তৃতীয় স্থানে দার্জিলিং, এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৫০। এরপর রয়েছে কোচবিহার, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সব জেলাতেই দৈনিক সংক্রমণ শতাধিক। করোনাযুদ্ধে সবচেয়ে এগিয়ে কালিম্পং, এখানে একদিনে কোভিড পজিটিভ মাত্র ১ জন।
সামগ্রিকভাবে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় চলতি সপ্তাহেই খুলে যাচ্ছে স্কুল, কলেজ-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সোমবারই এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ঘোষণার পরই স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। বিকাশ ভবন থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুনভাবে স্যানিটাইজ করে তবেই পড়ুয়াদের ক্লাসে বসাতে হবে, এ নিয়ে কড়া নির্দেশ রয়েছে।
Be the first to comment