বাংলা নববর্ষে আনন্দের আবহে রাজ্যের করোনা পরিসংখ্যানে যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক। ক্রমশই কমছে সংক্রমণ। মহামারীতে আবার টানা কয়েকদিন মৃত্যুহীন বাংলা। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে কোভিড পজিটিভ তেরোজন। যা শুক্রবারও ছিল ১৭। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়নি কারও। বাড়ছে সুস্থতার হার। পজিটিভিটি রেট এই মুহূর্তে ০.২২ শতাংশ।
গত প্রায় ২ সপ্তাহ ধরেই করোনা ভাইরাস রাজ্যে কারও প্রাণ কাড়তে পারেনি। সেই ধারা অব্যাহত রইল শনিবারও। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু শূন্য রাজ্য। আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন কমছে। তবে গতদিনের তুলনায় এদিন সুস্থতার সংখ্যাও সামান্য কমল। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সাম্প্রতিকতম বুলেটিনের দিকে নজর রাখলে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন রাজ্যের ৩৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ১৯,৯৬,২৫০। মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০,১৭,৭৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫১৯৮। তার মধ্যে মাত্র ০.২২ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ। অ্যাকটিভ কেসও নিম্নমুখী। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩২৮। এর মধ্যে মাত্র ২৭ জন ভরতি হাসপাতালে। মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে হাতিয়ার করোনা ভ্যাকসিন। গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও জোরকদমে চলছে টিকাকরণ। প্রথম, দ্বিতীয় ও প্রিকশন ডোজ দেওয়া চলছে। সর্বক্ষেত্রেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়তি ডোজ দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এ রাজ্যে ভ্যাকসিনের একটি ডোজও নষ্ট হয়নি। শনিবারও সাড়ে হাজারের বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও কমবয়সিদের টিকাকরণ চলছে। বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে বয়স্কদের। এছাড়া আঠারো ঊর্ধ্ব প্রিকশন ডোজ দাম দিয়ে কিনে নিতে হচ্ছে। বাজারে এই প্রিকশন ডোজের দাম ২৫০ টাকা। কোভিড বিধি উঠে যাওয়ার পরও সতর্কতার জন্য টিকাকরণ চলছে জোরকদমেই।
Be the first to comment