গণনা কেন্দ্রে প্রার্থী ঢোকায় কড়া নিয়ম নির্বাচন কমিশনের। কোনও প্রার্থী যদি গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চান, তাহলে হয় তাঁকে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিয়ে থাকতে হবে। অথবা, দেখাতে হবে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ৪৮ ঘণ্টার পুরনো হলেও হবে না। অর্থাৎ একেবারে সাম্প্রতিকতম করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলে, তবেই গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন প্রার্থী ও তাঁর এজেন্ট।
সোমবার মাদ্রাজ আদালত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য এককভাবে দায়ী করেছিল কমিশনকে। শুধু তাই নয় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের ‘খুনি’র সঙ্গে তুলনা করে বলেছিলেন, “খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত।” তখনই মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট গণনার নীল নকশা চেয়েছিল। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিল, যদি গণনার দিন করোনা ঠেকানোর যথেষ্ট পরিকল্পনা না থাকে, তাহলে গণনাও বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর তড়িঘড়ি ভোট পরবর্তী বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কমিশন।
কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, স্রেফ নিষেধাজ্ঞা দিলেই হবে না। তা বলবৎ করে দেখাতে হবে। এ বার আরও একধাপ এগিয়ে গণনায় সক্রিয় পদক্ষেপ করল কমিশন। করোনা আবহে নির্বাচন পরিচালনা করেছে নির্বাচন কমিশন। বঙ্গে আর এক দফার ভোট, তারপরই ভোট গণনা। কিন্তু ভোট বাংলায় লাফিয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। তাই প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায়। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য কাঠগড়ায় তুলছেন নির্বাচন কমিশনকে। দুই হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর তাই পরপর দুই পদক্ষেপ করে করোনা নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হল কমিশন।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরই ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈন একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচনী দফতরের সঙ্গে। আগামী ২ মে ভোট গণনার সময় ভোট কর্মীদের কী কী ধরনের সতর্কতা নিতে হবে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয় ওই বৈঠকে। তারপরই পরপর দু’টি নিয়ম আনল কমিশন।
Be the first to comment