‘টুম্পা প্যারোডি’ গানকে সঙ্গী করেই ব্রিগেডমুখী অনেকে। জেলা থেকে খাস কলকাতা অনেক জায়গাতেই বাজতে শোনা গেল, ‘তোকে নিয়ে ব্রিগেড যাব টুম্পা।’ কোথাও বাসে, কোথাও বা অটোতে শোনা গেল এই গান বাজতে।
কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে চড়ে শিয়ালদা নামেন উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বাম-কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকরা। তাঁদেরও অনেকের গলায় গলায় ঝুলছে ‘টুম্পা এসে গিয়েছি’ লেখা প্ল্যাকার্ড। ব্রিগেডমুখী একাধিক মিছিলে অনেককে এই গানে নাচতেও দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে ভোটমুখী বঙ্গে এই প্যারোডি যে একবারেই হিট তা বলাই বাহুল্য।
হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাম ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। স্টেশন চত্বরে বামেদের তরফে একটি ‘হেল্প ডেস্ক’ খোলা হয়েছে। সেখানে নাম নথিভুক্ত করছেন বাম কর্মী-সমর্থকরা।
প্রত্যাশা মতোই বামেদের ছাত্র-যুবদের মধ্যে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা ব্যাপকভাবে দেখা গিয়েছে। স্বাধীনতার পর ব্রিগেডে এই প্রথম ভোটের মুখে একসঙ্গে একাধিক দলের সমাবেশ। মাঠের অর্ধেকের বেশি ভর্তি হয়ে গিয়েছে। আরও প্রচুর মানুষ নানানভাবে আসতে শুরু করেছেন। সেজন্য রাস্তায় যানজটের সমস্যাও বাড়ছে। এদিকে মঞ্চে শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রেল, বাস ছাড়াও জলপথে ব্রিগেডমুখী হয়েছেন অনেকে।
যদিও ‘টুম্পা সোনা’ নিয়ে এর আগেও বামেদের আবেগ উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে। যে কেশপুরে মিছিল বার করতেও বিগত কয়েকটি নির্বাচনে বামেদের অনেকবার ভাবতে হয়েছে, সেখানে এবার ভোটের আগেই টুম্পা গান বাজিয়ে মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। বলা ভালো, বাঙালির চায়ের আড্ডায় ঝড় তুলেছিল বামেদের প্যারোডি ‘টুম্পা তোকে নিয়ে ব্রিগেড যাব।’ শনিবার থেকে আবার নজর কেড়েছে জোড়াফুল সমর্থকদের প্যারোডি জবাব। ‘বোঝে না সে বোঝে না’-এর সুরে তৃণমূলের কটাক্ষ- ‘না রে না ব্রিগেড তো আর ভরে না। মাকুরা নাস্তানাবুদ লোক জোটানোয় দায়…’। তবে শুধু বাম-কংগ্রেসই নয়, গানে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে BJP-এর উদ্দেশেও হয়েছে আক্রমণ। সোশ্যাল মিডিয়ার নয়া ট্রেন্ডিং টুম্পার জবাব।
Be the first to comment