সি পি আই (এম)-এর রাজ্য কমিটির দু’দিনের সভা শনিবার শেষ হলো। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিমান বসু। সভায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচির পর্যালোচনা হয়েছে। জেলাগুলিতে সাংগঠনিক পর্যালোচনার রিপোর্ট সভায় আলোচিত হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যালোচনায় রাজ্য কমিটি বলেছে, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের প্রভাবে ক্ষয় ধরছে। জনগণের উল্লেখযোগ্য অংশ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তুষ্ট, ক্ষুব্ধ। রাজ্যের অর্থনীতির অধোগতি স্পষ্ট। লুঠতরাজের রাজত্বে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে খুন-জখমের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের অবস্থান অনেক সময়েই নেতিবাচক দেখা যাচ্ছে। তাদের কার্যকলাপ সাম্প্রদায়িক শক্তিকেই সাহায্য করছে।
অন্যদিকে, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বি জে পি-র পরাজয়ে জনগণের ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে। আমাদের রাজ্যেও বি জে পি-কে যাঁরা বিকল্প ভাবছিলেন, তাঁরা সংশয়ে পড়ছেন। এই অবস্থায় বামপন্থীরাই জনগণের সামনে প্রকৃত বিকল্প তুলে ধরতে পারেন।
রাজ্য কমিটির সদস্যদের আলোচনার উপসংহারে রাজ্য সম্পাদক সূর্য মিশ্র বলেছেন, সঙ্কট বাড়ছে, জনগণের ওপরে আক্রমণ বাড়ছে। নাগরিক অধিকার, মৌলিক অধিকার আক্রান্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের সমস্যা নিয়ে রাস্তায় থেকেই জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।
আগামী ৮-৯ই জানুয়ারির সাধারণ ধর্মঘট সফল করতে শ্রমিক-কৃষক ও অন্যান্য সংগঠনগুলির পাশাপাশি পার্টি ও বামপন্থীদের ভূমিকা পালন হবে। রাজ্য কমিটি আহ্বান জানিয়েছে, ৮-৯ই জানুয়ারির ধর্মঘটের সাফল্যের ভিত্তিতেই ৩রা ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার গড়ে তুলতে হবে।
Be the first to comment