আতশবাজি পোড়ানোর সময়সীমা বেঁধে দিলো কলকাতা পুলিশ। কালীপুজোর রাতে আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে বাজি। কয়েক বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছিল। আর সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চাইছে লালবাজার। সেই সূত্রে শুক্রবার থেকেই শুরু হবে প্রচার। তৈরি করা হয়েছে লিফলেট-পোস্টার। শহরজুড়ে সেই লিফলেট ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।
বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি এই তিন ভাষাতেই কয়েক লাখ পোস্টার এবং লিফলেট ছেপেছে কলকাতা পুলিশ। সেখানে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে বাজি। নিয়ম না মানলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। পাশাপাশি ওই লিফলেটে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম অর্থাৎ ৯০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রায় শব্দবাজি ফাটানো যাবে না। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যে বাজিগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার নাম লেখা একটি লিফলেট ছড়ানো হবে আজ থেকে। সেখানে ১২৬টি বাজিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে কলকাতা পুলিশের আবেদন, শব্দবাজির অত্যাচার নয়, আলোর উৎসবে পরিণত হোক দীপাবলি ও কালীপুজো।
বহুদিন ধরেই কলকাতা শহরে শব্দবাজি নিষিদ্ধ। শব্দবাজির ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া আছে ৯০ ডেসিবেলের সময়সীমা। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বেশ কিছু বাজিও। সেই নিষিদ্ধ বাজির তালিকাও তৈরি করেছে পুলিশ। সেগুলির মধ্যে রয়েছে ভুঁই পটকা, ছুঁচো বাজি, উড়ন তুবড়ি, চটপটি, চকোলেট বোমা, রকেট বা শব্দ উৎপাদনকারী বাজি। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, আর্সেনিক সালফেট এবং পটাশিয়াম ক্লোরেট দিয়ে তৈরি যেকোনও বাজি নিষিদ্ধ।
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এবারও কালীপুজোর দিন চালানো হবে বিশেষ নজরদারি। প্রত্যেকটি বহুতল আবাসনের ছাদ থেকে চালানো হবে বিশেষ নজরদারি। নেওয়া হবে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য। কলকাতার পুলিশকর্মীরা ছড়িয়ে থাকবেন শহরের অলি-গলিতে। যেখানেই শব্দবাজির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যাবে, সেখানেই নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ আবাসনগুলিতে শব্দবাজি ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার আবাসনগুলিতেও রাখা হবে নজর। কোনও পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলে তাঁকেও রেয়াত করা হবে না।
Be the first to comment