
রোজদিন ডেস্ক :- :- বাংলাদেশে ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস মহাপ্রভুর গ্রেপ্তার কে অন্যায় অভিহিত করে প্রতিবাদে পথে নামলো প্রদেশ কংগ্রেস। আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে বিকেল ৫.৩০ মিনিটে বালিগঞ্জ ইসকন মন্দিরের সামনে থেকে একটি মোমবাতি মিছিল বাংলাদেশ হাই কমিশন পর্যন্ত যাচ্ছে। এর আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এই বিষয় একটি প্রেস বিবৃতি দেন। তিনি বলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী প্রভুর বিরুদ্ধে ভয়ংকর ভাবে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু এটি কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। যে ভক্তি আন্দোলনের তিনি প্রতিনিধি তা ধর্মনিরপেক্ষতা ও অহিংসার প্রসারে সাহায্য করে। শুভঙ্কর বাবু তার বিবৃতিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাম উল্লেখ করে বলেন যে, ‘সংবিধানে ধর্মিরপেক্ষতার ওপর রাহুল জি সবসময় জোর দেন’। মহাত্মা গান্ধীর অহিংসাকে পথেয় করে কংগ্রেস দল ও দলনেতা রাহুল গান্ধী চলেন। ধর্মনিরপেক্ষতা সব ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে তা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। কিন্তু একই সঙ্গে মুসলিম দের প্রতি ভারতে যে আচরণ করা হয় তাও নিন্দনীয়। আমি বাংলাদেশে চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির যেমন নিন্দা করি তেমন পাশাপাশি সম্ভলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি হওয়ায় উত্তরপ্রদেশ সরকারেরও নিন্দা করি। বিজেপি দাবি করে,যে তাঁরা হিন্দুত্বের ধারক বাহক।কিন্তু বাস্তবে তাঁরা হিন্দুদের ও রক্ষা করতে ব্যার্থ বলে মনে করি কারণ তাঁরা বুঝতে পারেনা যে ধর্ম কে সম্মান জানানো মানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার মনোভাব পোষণ করা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেন্দ্র তথা বিজপি সরকারের বৈদেশিক নীতি ও পররাষ্ট্র বিষয়ে ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, এরপর বিজেপি বাংলাদেশের এই ঘটনা থেকে মুখ ঘোরাতে পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক অশান্তি করতে চাইবে। তাই রাজ্য কংগ্রেস কেন্দ্রের বৈদেশিক নীতির ব্যর্থতা নিয়ে পথে নামছে ও নির্দিষ্ট কর্মসূচি নিচ্ছে। শুভঙ্কর বাবু বলেন আমাদের দাবি ইসকন সন্ন্যাসী মুক্তি ও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকুক। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘু রাও যেন শান্তিতে থাকে ও সেখানেও যেন সম্প্রীতি বজায় থাকে।
Be the first to comment