একদিকে দিল্লি কিছুটা শান্ত হয়েছে। অন্যদিকে, নতুন করে উত্তপ্ত ভারতের পূর্ব প্রান্ত। নতুন করে জারি হল কার্ফু। শনিবার থেকে নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে ঘিরে দিল্লির অশান্তির আঁচ পৌঁছে গিয়েছে মেঘালয়ে। শুক্রবার থেকেই সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্য। ইতিমধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিলংয়ে জারি করা হয়েছে কার্ফু। ৬ জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং রাজ্যের আদিবাসী নয় যাঁরা তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষে দফায় দফায় উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানী শিলং-সহ মেঘালয়ের একাধিক জায়গা। আর এই সংঘর্ষে পূর্ব খাসি হিলসে একজনের মৃত্যুও পর্যন্ত হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টা থেকে কার্ফু জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া হিল, পশ্চিম জয়ন্তিয়া হিলস, রি ভোই, পশ্চিম খাসি হিলস, দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলায় মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সেখানে বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা।
দুই সংগঠনের মধ্যে সিএএ এবং ইনার লাইন পারমিট নিয়ে বিবাদ চলছিল। শুক্রবার সমস্যা সমাধানে বৈঠক বসেছিল ইচামতী এলাকায়। সেখানেই সংঘর্ষ বাঁধে দুই দলের মধ্যে। তাতেই মৃত্যু হয় একজনের। শুক্রবার থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। তারপরই কার্ফু জারি করা হয়।
Be the first to comment