
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে বিচারপতি ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাইয়ের নাম প্রস্তাব করলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৩ মে। তারপর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন বিচারপতি বিআর গাভাই। তিনি হবেন ভারতের ৫২তম প্রধান বিচারপতি।
গত বছরের ৮ নভেম্বর অবসর নেন দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম প্রস্তাব করেছিলেন এবং তাতে সম্মতি দেয় কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। এরপর গত ১১ নভেম্বর ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন সঞ্জীব খান্না। ১৯৬০ সালের ১৪ মে জন্ম হয় বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার। সেই অনুযায়ী আগামী ১৪ মে তাঁর ৬৫ বছর পূর্ণ হবে। ফলে ১৩ মে অবসর নেবেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। দেশ তাঁকে মাত্র ৬ মাস প্রধান বিচারপতি হিসাবে পেল।
এই অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজ্যের আরজি করের নির্যাতিতার মামলা। আরজি কর হাসপাতালে নিহত তরুণীর বাবা-মার আবেদন অনুযায়ী মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তিরত করার অনুমতি দেয় বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। এছাড়া ৩ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব কুমার ও সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। চাকরি হারায় ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী।
সুপ্রিম কোর্টের বয়সের দিক দিয়ে প্রবীণ বিচারপতিই দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন। সেই হিসাব অনুযায়ী পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হওয়ার কথা বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের। বুধবার রীতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
১৯৬০ সালের ২৪ নভেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতীতে জন্মগ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই। তাঁর বাবা আরএস গাভাই সাংসদ ছিলেন। পরে বিহার ও কেরলের রাজ্যপাল হন।
২০০৩ সালের ১৪ নভেম্বর বিচারপতি বিআর গাভাই বম্বে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতির পদে আসীন হন। এরপর ২০০৫ সালে ১২ নভেম্বর তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন। ২০১৯ সালের ২৪ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে উন্নিত হন বিচারপতি বিআর গাভাই। বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মতো তিনিও মাত্র ছ’মাসের জন্য দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলাবেন। চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর তাঁর অবসর নেওয়ার কথা।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে তৎকালীন বিজেপি সরকার। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই মামলার শুনানিতে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে অন্যতম বিচারপতি ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দেয়।
Be the first to comment