অশান্ত সন্দেশখালি। তেতে উঠেছেন এলাকার মহিলারা। বিগত কয়েকদিনে দফায় দফায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা। কোণঠাসা উত্তম সর্দার, শিবু হাজরার মতো নেতারা। অভিযোগ, দিনের পর দিন মহিলাদের উপর চলেছে অকথ্য নির্যাতন। রাতে পার্টি অফিসেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাগে গর্জে উঠেই সন্দেশখালির এক মহিলা একদিন আগে বলে উঠেছিলেন, “বাড়ির মেয়েদের কোনও সম্মান দেয়নি। রাত সাড়ে দশটার সময়েও মেয়েদের উঠিয়ে আনত পার্টি অফিসে।” সূত্রের খবর, এবার সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে নবান্নের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালি নিয়েও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। নির্দেশ এমনটাই।
শাসক নেতাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বিগত কয়েকদিন ধরেই গর্জে উঠেছেন সন্দেশখালির লোকজন। জ্বলে ছারখার হয়ে গিয়েছে উত্তম-শিবুদের একের পর এক পোল্ট্রি ফার্ম। আগুন জ্বলেছে বাগানবাড়িতেও। বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে ইতিমধ্যেই পাকড়াও করেছে পুলিশ। উত্তেজনার আবহেই শনিবার সকাল থেকে সন্দেশখালিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। তালা পড়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাতেও। তাতেই যেন আগুনে ঘি পড়েছে। সন্দেশখালির আরও এক আন্দোলনকারী মহিলা তো বলেই উঠলেন, “কিছু পুলিশ এসেছে। আমাদের মারধর করে হাতের পলা ভেঙে দিয়েছে। আমরা ন্যায় চাইছি। পুলিশেরই শাস্তি চাইছি।”
সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি তুলে এদিন সকালেই রাজভবনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়কেরা। ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইনও বেঁধে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল পদক্ষেপ না করলে সোমবারই তাঁরা ১৪৪ ধারা ভেঙে সন্দেশখালি যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
Be the first to comment