শক্তি বাড়িয়ে আরও বিধ্বংসী জাওয়াদ, প্রস্তুত রাজ্য সরকারও

Spread the love

আরও শক্তি বাড়াল ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। শনিবার তা আছড়ে পড়বে ওডিশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে। ইতিমধ্যে তার অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর লাগোয়া পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। আগামী ১২ ঘণ্টায় তা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। শনিবার সকালে আছড়ে পড়বে পারে জাওয়াদ। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে যে কোনও ধরনের বড় দুর্ঘটনা ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ।

পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য নিয়মিত জেলাশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে বিদ্যুৎ দফতর। জাওয়াদ আছড়ে পড়ার পর কোনও মানুষ সমস্যায় পড়লে তাঁরা যাতে বিদ্যুৎ দফতরে জানাতে পারে সেজন্য চালু করা হয়েছে হেলপ লাইন নম্বর। এই নম্বর দুটি হল- ৮৯০০৭৯৩৫০৩/0৪। এছাড়া CESC-র হেলপ লাইন নম্বর ৯৮৩১০৭৯৬৬৬/৯৮৩১০৮৩৭০০।

জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে জাওয়াদ। শনিবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওডিশার মধ্য স্থলভাগে তা আছড়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে হতে পারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য। কোনও প্রাণহানি যাতে না হয় সেজন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষদের। মাটির বাড়ির বাসিন্দাদের স্থানীয় সরকারি ক্যাম্পে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কোনওভাবেই যাতে জাওয়াদের জন্য ফসলের ক্ষতি না হয় সেজন্য একগুচ্ছ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত কৃষকরা আলু লাগিয়েছেন তাঁদের জমিতে নালা করার কথা বলা হয়েছে যাতে জল জমে ক্ষতি না হয়। এদিকে যাঁরা এখনও আলু লাগাননি তাঁদের ৭ থেকে ১০ দিন সময় পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জাওয়াদের জেরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঝোড়া হাওড়া বইতে পারে উপকূলের জেলাগুলিতে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া একাধিক জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এই সময় যাতে কোনওভাবেই মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান সেজন্য সতর্কবার্তা জারিফলে সেই অভিজ্ঞতাকে হাতিয়ার করে জাওয়াদ মোকাবিলায় কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন। কন্ট্রোলরুমগুলি খোলা থাকছে।

এদিকে শহর কলকাতার পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত প্রশাসন। এই সময় খোলা থাকছে কন্ট্রোলরুম, জানানো হচ্ছে পুরকর্তৃপক্ষের তরফে। এছাড়াও অধিক বৃষ্টিপাতের জেরে যাতে জল না জমে সেজন্য পাম্পিং স্টেশনগুলিও চালু থাকছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কোনওভাবেই যাতে জাওয়াদের জেরে প্রাণহানি না ঘটে তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর প্রশাসন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*