উর্দু ও সংস্কৃত শিক্ষকের নিয়োগ ঘিরে গত ২০ সেপ্টেম্বর ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ইসলামপুরের দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়। বিক্ষোভ সামাল দিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। গুলিতে মৃত্যু হয় স্কুলের দুই প্রাক্তন ছাত্র তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের তরফে তা অস্বীকার করা হয়। এরপরেই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে একটানা প্রায় দু’মাস দাড়িভিট স্কুল বন্ধ করে রেখে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা।
পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা একাধিকবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাঁদের দাবির বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দেওয়ার পরে অবশেষে স্কুল খোলে। কিন্তু সিবিআই তদন্তের দাবিতে স্কুলের বাইরের মাঠে ধর্নামঞ্চ করে আন্দোলন জারি রেখেছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। তবে স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। প্রশাসনও বিষয়টি থিতিয়ে গিয়েছে বলেই ধরে নেয়।
কিন্তু সিবিআই তদন্তের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতার প্রতিবাদ জানাতে এবং সিবিআই তদন্তের দাবিকে আরও জোরালো করতে আজ আবার স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে মৃত ছাত্র তাপস ও রাজেশের পরিবার। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আন্দোলকারীদের কাছে আবেদন করেন, স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা রয়েছে, তাই স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে মুশকিল হবে ছাত্রছাত্রীদের। এরপরেই স্কুল খুলে দেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে দুই ছাত্রের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবিতে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে তাঁদের আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে দাড়িভিট স্কুলে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরাও। ফলে আজকে স্কুল খুললেও সমস্যা কিন্তু জিইয়েই রইল।
Be the first to comment