চলো যাই দার্জিলিং

Spread the love

অমৃতা ঘোষ মণ্ডল, 

পাহাড়ি এলাকা দা‌‌‌র্জিলিং এ দীর্ঘদিন ধরে চলা সন্ত্রাসবাদ কে কাটিয়ে এখন নতুন করে ফিরেছে এই শৈলশহর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায়    দার্জিলিং এখন শান্ত। পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে দার্জিলিং ফিরেছে আবার নিজের ছন্দে। পাহাড়ের প্রতি কোনে কোনে রৌদ্রের ঝলকানি তে যেন হাসছে গোটা প্রকৃতি। পর্যটকেরা আবার জমায়েত হতে শুরু করছেন এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা -র সোনার চূড়া আবার দেখছেন সবাই নির্বিঘ্নে।

হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দা‌র্জিলিং তার চা-উৎপাদন ও দার্জিলিং-হিমালয় রেল পথের জন্য সু-প্রসিদ্ধ। যেটি আবার ইউনেস্কো-র একটি পৃথিবীর ঐতিহ্যগত স্থান। দার্জিলিং গোর্খাদের রাজধানী ছিল। পরবর্তীকালে সিকিমের মহারাজা ব্রিটিশদের কে দার্জিলিং উপহার দেন।দার্জিলিং সর্বদাই তার নিদারুন সৌন্দর্য ও মনোরম জলবায়ুর কারনে ভারতের এক জনপ্রিয় অবকাশ যাপনের গন্তব্য।
দার্জিলিং এর ঘোরার জন্য সেরা সময় হল বসন্ত ও শরৎকাল। দার্জিলিং এ বসন্ত কাল মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। আর শরৎ কাল সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এখানে ঘোরার স্পট অনেক আছে। খুব কাছে এবং কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিং।  পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত দার্জিলিং এর ঘুম স্টেশন রয়েছে যেটি বিশেষ আর্কষন এছাড়া রয়েছে পৃথিবীর বিখ্যাত প্রার্থনা স্থান ঘুম মোনাস্ট্রি। বিলুপ্ত প্রায় পাহাড়ি বাঘ স্নো লেপার্ড খ্যাত দার্জিলিং চিরিয়াখানায়। 
এখানে আছে সর্বপ্রথম এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং রক এর স্মৃতিস্তম্ভ। দার্জিলিং এ হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেন এ বসে আপনারা পৃথিবী খ্যাত ব্লাক টি পানের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া এখানে দেখবেন মহান সৃষ্টিকর্তার বিশাল উপহার হিমালয় কন্যা কাঞ্চনজঙ্ঘা অপরূপ দৃশ্য। আরো অনেক কিছু যা দার্জিলিং এ আসা পর্যটক দের আর্কষন করে এবং যা দেখার মতো যেমন পাথর কেটে তৈরী করা রক গার্ডেন্স,গঙ্গামায়া পার্ক,ভিক্টোরিয়া ফলস,গোরখা স্টেডিয়াম,বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহার জাপানিজ টেম্পল,টাইগার হিল ইত্যাদি।
এবার আসা যাক কিভাবে আসবেন,খুব‌ই সহজ…..দার্জিলিং এ আসতে হলে কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত অনেক ট্রেন পেয়ে যাবেন। নেমে গাড়ী করে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় লাগবে দার্জিলিং আসতে।
এছাড়া বাই এয়ার এ আসতে গেলে বাগডোগরা হল দার্জিলিং এর নিকটতম বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর দিল্লী , কলকাতা, গুয়াহাটি থেকে নিয়মিত বিমান দ্বারা সংযুক্ত। 
তাহলে এবার গরমের ছুটিতে আর বাড়িতে নয় কচিকাচা দের নিয়ে বেরিয়ে পরুন আপনার আমার আর আমাদের সবার প্রিয় হিল স্টেশন দার্জিলিং।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*