পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ। দার্জিলিং পৌরসভার দখল নিল নতুন রাজনৈতিক দল হামরো পার্টি। অপ্রত্যাশিতভাবে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ পাহাড়ের অন্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলিকে পরাজিত করেছে অজয় এডওয়ার্ডের এই দল। ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা পেল হামরো পার্টি।
অন্যদিকে, পরাজিত হয়েছে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং মন ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ। পাহাড়ের রাজনীতিতে এই পরিবর্তন অনেকেই ভাবতে পারেনি।
কিন্তু পাহাড়ের মানুষ নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের সঙ্গে নতুন উত্থান পর্বের সূচনা করলেন। এর আগে বিমল গুরুংকে যাচাই করে তাঁকে প্রত্যাখান করেছে পাহাড়বাসী। একই প্রতিক্রিয়া পেলেন বিনয় তামাং ও অনিত থাপা ৷ দার্জিলিংয়ে ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে হামরো পার্টি ১৮টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে, অনিত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ৯ টি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ৩টি ও তৃণমূল কংগ্রেস ২টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত পৌর নির্বাচনে একটিমাত্র ওয়ার্ড পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে ঘাসফুল। অন্যদিকে, বিমল গুরুংয়ের মোর্চা ২২, ২৭, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে।
অনিত থাপার দল ১, ৩, ১৭, ২১, ২৩, ২৪, ২৬ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে ৷ আর বিজেপির সঙ্গে জোট করেও খাতাই খুলতে পারেনি জিএনএলএফ। জয়ের পরই দু’টি ওয়ার্ডে বিজয় মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা । বিনয় তামাং বলেন, “আমরা দু’টি ওয়ার্ডে জিতেছি। তবে আমাদের ভোট গতবারের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অজয় এডওয়ার্ডকে শুভেচ্ছা । তাঁকে সবরকম সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার।
হামরো পার্টির কার্যকরী কমিটির সদস্য রবার্ট ছেত্রী বলেন, “আমরা একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছি। পৌর বোর্ড আমরা গঠন করছি। মানুষকে পরিষেবা দেব।”
Be the first to comment