ফের টলিপাড়ায় অশান্তির কালো মেঘ

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধ সত্ত্বেও টলিপাড়ার শুটিং ঘিরে ফের জটিলতা। সৃজিত রায়ের নতুন ধারাবাহিকের সেটে এলেন না টেকনিশিয়ানরা। এই ঘটনায় বিরক্ত ও উদ্বিগ্ন পরিচালক ও অভিনেতারা।

ফের শুটিং ঘিরে জটিলতা টলিপাড়ায়। পরিচালক সৃজিত রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি নাকি টেকনিশিয়ান-বিরোধী কথা বলেছেন। এই অভিযোগে তাঁকে ‘নিষিদ্ধ’ করেছে শিল্প নির্দেশক বিভাগ। শীঘ্রই তাঁর পরিচালনায় এবং প্রযোজনায় নতুন ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হওয়ার কথা। তাই জোরকদমে সেট তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই শনিবার রাতে শোনা যায়, শিল্প নির্দেশক বিভাগের টেকনিশিয়ানরা নাকি তাঁর সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন। তাঁরা কাজ করতে চাইছেন না সৃজিতের সঙ্গে। এরপর তাঁরা ফ্লোরে এলেও সোমবার সকালে ফের তিনি অসহযোগিতার সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ।
পরিচালক জানান, “শিল্প নির্দেশক বিভাগ (আর্টস ডিরেক্টর গিল্ড) থেকে সেখানকার সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন আমার সঙ্গে কাজ না করেন।” মঙ্গলবার এই ব্যাপারে দাসানি ১ স্টুডিয়োতে হাজির হন পরিচালকেরা। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী কাজ বন্ধ করতে নিষেধ করলেও কেন কাজ বন্ধ করে দেওয়া হল?
এই প্রসঙ্গে পরিচালক সৃজিত রায় বলেন, “আমার অনেক টাকা ইনভেস্ট হয়ে গিয়েছে। আমার অবাক লাগছে যাঁরা কাজ করতে আসেননি তাঁদেরও তো ক্ষতি হচ্ছে। যখন সেট তৈরি হয় তখনই মডিউলার, কার্পেন্টারদের কাজ থাকে। সারা বছর অন্য কাজ তাঁদের তো থাকে না। আমাকে লিখিত কিছু জানানোও হয়নি যে, কেন তাঁরা কাজে আসেননি। আমার সঙ্গে আর্ট ডিরেক্টর বিভাগের প্রেসিডেন্টের কথা হয়েছে। আমি নাকি ফেডারেশন বিরোধী কথা বলেছি। তাই আমার কাজে নাকি আসেননি টেকনিশিয়ানরা।” এদিন তিনি আরও বলেন, “আমি ফেডারেশন গিল্ডের কার্ড হোল্ডার। ২৫ বছর ধরে কাজ করছি। আমি কী এমন কথা বলেছি ফেডারেশন বিরোধী সেটা আমাকে জানানো হোক। আগামিকাল পর্যন্ত পরিচালক সমিতি সময় দিয়েছে। আগামিকালের মধ্যে না জানালে পরিচালক গোষ্ঠীর সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে।”
ডিরেক্টর্স গিল্ডের সভাপতি সুব্রত সেন বলেন, “সৃজিত জানতে চান যে তিনি কী সংগঠন বিরোধী কাজ করেছেন এবং কোন কথা বলেছেন যে তাঁর ফ্লোর রেডি করতে এলেন না টেকনিশিয়ানরা? আমরা সময় দিয়েছি আগামিকাল পর্যন্ত। তারপর এই নিয়ে ফের বৈঠকে কথাবার্তা হবে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*