বৈঠক নির্ধারিত থাকলেও এলেন না ডিআই। তাই ধাক্কা খেল দাড়িভিট স্কুলের বন্ধ পঠনপাঠন ফের চালুর উদ্যোগ। অন্যদিকে সন্তানদের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে সোমবার দাড়িভিট স্কুলের সামনে এসে সরব হলেন গুলিতে নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের পরিবার। তাই নতুন করে এ দিন সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় দাড়িভিট স্কুল লাগোয়াএলাকায়।
দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ২০ সেপ্টেম্বর তেতে ওঠে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। গুলিতে মৃত্যু হয় ওই স্কুলেরই দুই প্রাক্তন ছাত্রের। পুলিশের গুলিতে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও, বিক্ষোভ দমনে কোনও গুলি চালানো হয়নি বলে পাল্টা দাবি করে পুলিশ। তাই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে সন্তানদের দেহ দাহ না করে গ্রামেই মাটির নীচে পুঁতে রেখেছেন স্বজনরা। এ দিন সেই দাবিতেই স্কুলের সামনে এসে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দাড়িভিট কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এ দিকে ঘটনার পর থেকে পঠনপাঠনও বন্ধ হয়ে যায় দাড়িভিট স্কুলে। রবিবার ইসলামপুর বিডিও অফিসে একটি সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের নিয়ে সোমবার সকালে বৈঠক করা হবে দাড়িভিট স্কুলে। সেখানেই স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রবিবার বিকালেই সেই সিদ্ধান্ত মাইক নিয়ে প্রচার করা হয়। কিন্তু কয়েক জন অভিভাবক স্কুলে এলেও ব্যস্ত আছেন জানিয়ে স্কুল পরিদর্শক আসেননি। দেখা যায়নি স্কুলের হেড মাস্টারকেও। একমাত্র স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য তপনকুমার মজুমদার স্কুলে এসেছিলেন। তিনি স্কুলের বাইরে অভিভাবকদের সঙ্গে বসতে চাইলেও স্কুল পরিদর্শক না থাকায় সেই বৈঠকে রাজি হননি অভিভাবকরা।
এ দিকে আজ স্কুল খোলার জন্য বৈঠক হতে পারে জানতে পেরেই সকাল বেলা থেকেই দুই ছাত্রের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবিতে স্কুলের সামনে সরব হন তাঁদের পরিবার। রাজেশ ও তাপসের মা ও ছিলেন সেখানে। সব মিলিয়ে ঘটনার পর থেকে বন্ধ থাকা দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পঠনপাঠন কবে শুরু হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না ঘটনার ১১ দিন পরেও।
Be the first to comment