ফের বোর্ড গঠনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। গত কয়েকদিন ধরেই বোর্ড গঠন এবং প্রধান নির্বাচনকে ঘিরে অশান্তি ছড়াচ্ছে নানা জেলায়। মঙ্গলবার ছিল দাসপাড়ায় প্রধান নির্বাচন। বোমাবাজি, গুলি ঘিরে সকাল থেকেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে দাসপুর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে ঘিরে সকাল থেকে ঝামেলায় জড়ায় তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থকেরা। পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি চলে এলাকায়। শুরু হয় বোমাবাজিও। ইতিমধ্যেই গুলি লেগে তিনজনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স-সহ চোপড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর পাশাপাশি শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। সংঘর্ষ থামাতে আনা হয় জলকামান।
ঝামেলার মাঝেই চোপড়ার দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে তৃনমূল কংগ্রেস। মোট ২৩ টি আসনের সবকটিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল। প্রধান নির্বাচিত হন দুলাল মন্ডল এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হন মনসুর আলম।
বোর্ড গঠনে আপত্তি জানিয়ে গতকালই চোপড়ায় কংগ্রেস- সিপিএম জোট হুমকি দেয়। তাদের অভিযোগ ছিল, ভোট গণনার দিন সন্ত্রাস করে নিজেদের সদস্যদের জিতিয়ে নেয় তৃণমূল। লক্ষীপুরের পর আজ দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতে কংগ্রেস ও সিপিএম জোট বোর্ড গঠনে বাধা দিতে এলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় তৃণমূলের। জখমদের শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
বোর্ড গঠন ঘিরে অগ্নিগর্ভ ইটাহারও। সকাল থেকে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। যথেচ্ছ বোমাবাজিতে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। গুলি চলে বলেও অভিযোগ। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ৯ পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থকও।
Be the first to comment