ভাগাড় কাণ্ড এখনও স্মৃতিতে তাজা ৷ এখনও রাস্তার ধারের কোনও দোকানে মাংসের কোনও পদ খেতে গিয়ে দু’বার ভাবতে হচ্ছে ভোজনবিলাসী বাঙালিকে ৷ এরই মাঝে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ক্ষুদ্রমণ্ডলগাঁথিতে দেদার চলছে মৃত পশুর মাংস পাচারের কারবার ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেগঙ্গার ক্ষুদ্রমণ্ডলগাঁথি এলাকার একটি ঘেরা জায়গায় বেশ কয়েকদিন ধরে কয়েকজন অচেনা ব্যক্তি আসা-যাওয়া করছিলেন। সন্ধে নামলেই বাড়ছিল তাঁদের আনাগোনা। সেখানে কয়েকটি ঘরও রয়েছে। গাড়ি নিয়ে সেখানে ঢুকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এত সন্দেহ আরও বাড়ে ৷ কিন্তু গেট বন্ধ থাকায় স্থানীয় মানুষজন ভিতরে ঢুকতে পারেননি ৷ কিন্তু গত তিনদিন ধরেই ওই পাঁচিলঘেরা জায়গার ভিতর থেকে দুর্গন্ধ আসছিল ৷ গতকাল রাতেও ম্যাটাডর ঢোকে ৷ দুর্গন্ধ বাড়তে থাকায় গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় মানুষজন পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকেন ৷ সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, লোকচক্ষুর আড়ালে কাটা হচ্ছে মৃত পশু ৷
এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় বিক্ষোভে ছড়ায় ৷ একটি গাড়ি আটক করে ভাঙচুর চালায় স্থানীয় জনতা ৷ কিন্তু, অন্ধকারের সুযোগে চার-পাঁচ জন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে গ্রামবাসীদের হাতে একজন পাচারকারী ধরা পড়ে ৷
তিনি জানিয়েছেন, মধ্যমগ্রামের বিভিন্ন হোটেলে মরা পশুর মাংসে পাচার করা হত ৷ হোটেলে খাসির মাংস বলে চালানো হত ৷ জানা গিয়েছে, এই চক্রের মূল পাণ্ডা টিটাগড়ের ইকবাল আনসারি ৷ তাঁর খোঁজে ইতিমধ্যেই পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে ৷
Be the first to comment