বিয়ের আগে অন্য যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গেছিল মেয়ে। আর তাকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে মেয়ের সামনেই ওই যুবক ও তার পরিবারের মারে মৃত্যু হলো ব্যক্তির। মৃতের নাম পার্থসারথি মান্না, বয়স ৪৫ বছর। ঘটনাটি রামনগর থানার দামোদরপুর এলাকার। ঘটনায় জখম হয়েছে যুবতির মা ও বাকি পরিবারের সদস্যরাও। তারা দিঘা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
১২ নভেম্বরে দুপুরে কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল পার্থসারথির মেয়ে তনুশ্রী মান্না। কলেজ থেকে ফেরার সময় পেরিয়ে গেলেও সে বাড়ি ফেরেনি। বাবা- মা কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকায় পরিবারের লোকজন তাঁদের খবর দেন। তাঁরা সেখান থেকে খোঁজ- খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাতে কাজ না হওয়ায় শনিবার রামনগর ফেরেন। জানতে পারেন, মেয়ে পাড়ারই এক যুবক পার্থপ্রতিম বেরার সঙ্গে পালিয়ে গেছে এবং সেই যুবকের বাড়িতেই রয়েছে। তারপর সোমবার ওই যুবকের বাড়ি থেকে মেয়েকে আনতে যান পার্থসারথি ও তাঁর পরিবার। সেখানে তনুশ্রীকে বুঝিয়ে নিয়ে আসতে গেলে যুবকের পরিবারের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁদের। পার্থসারথিকে যুবকের পরিবার বাঁশ দিয়ে পেটায়। বাকিদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পার্থসারথির।
রামনগর থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বাকিদের দিঘা হাসপাতালে ভর্তি করে। তনুশ্রীর মা গীতা মান্না বলেন, মেয়ে চলে গেছিল। আজ ওর বিয়ে। তাই ওর বাবা, আমি আর আমাদের পরিবারের কয়েকজন ওকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য গেছিলাম। সেখানেই পার্থপ্রতিম আর ওর পরিবারের লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের ব্যাপক মারধর করে। আমার স্বামীকে মারধর করে মেরেই ফেলে ওরা।
তনুশ্রীর মামা প্রদীপ গারু বলেন, কলেজ যাওয়ার নাম করে ভাগ্নি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছয় সাত দিন আগে পালিয়ে যায়। দিদি, জামাইবাবু ও আমরা তাই ওকে ফিরিয়ে আনার জন্য গতকাল রাতে পার্থপ্রতিমের বাড়িতে গেছিলাম। সেখানেই গ্রামবাসী ও তার বাড়ির লোকজন আমাদের ব্যাপক মারধর করে। মৃত্যু হয় জামাইবাবুর। আমরা পুলিশকে সব ঘটনা জানিয়েছি।
রামনগর থানার OC স্বপন গোস্বামী জানিয়েছেন, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
Be the first to comment