পর্দার আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে মৃতদেহের হাত, পা বা দেহের কোনও অংশ

Spread the love

মাঝে শুধু একটা সবুজ পর্দার আড়াল। তার পিছনে বসেই মৃতদেহ কাটাছেঁড়া করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পর্দার আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে মৃতদেহের হাত, পা বা দেহের কোনও অংশ। পথ চলতে গিয়ে থমকে দাঁড়াচ্ছেন মানুষ।

এ দৃশ্য রাজস্থানের বারমেড় শহরের। বুধবার প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার উপর বসেই দু’টি দেহের ময়নাতদন্ত করতে দেখা গেল বারমেড় সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী, চিকিৎসকদের। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়েরাই এমন অভিযোগ জানিয়েছেন থানায়। এই দৃশ্য যেমন শোভনীয় নয়, তেমনি স্বাস্থ্যবিধির বিরোধী। ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, একটা পর্দার আড়ালে বসে দু’জন দেহের কাটাছেঁড়া করছিলেন। দু’টি দেহই মহিলার। কাজেই সেই দৃশ্য খুবই ভয়ানক। পথচলতি মানুষদের অনেকেই ভয় পাচ্ছিলেন, আবার কেউ কৌতুহলে সামনে গিয়ে ভিডিও করার চেষ্টা করছিলেন।

গোদরা রোড কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষদের অবশ্য দাবি, জোর করেই ওই দু’টি দেহের ময়নাতদন্ত করতে বলা হয়েছিল। কাছাকাছি কোনও মর্গ নেই, তাই রাস্তার উপর বসেই দ্রুততার সঙ্গে কাজ সারছিলেন তাঁরা। বারমেড় স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তা কমলেশ চৌধুরীর কথায়, পুলিশ ও মৃতদের পরিবারের দাবি মেনেই ওই কাজ করা হচ্ছিল। তিনি বলেছেন, “বারমেড় ও গোদরা রোডে কোনও মর্গ নেই। তাই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করতে গেলে অনেক দূরে যেতে হবে। অথচ পুলিশ ও মৃতদের পরিবারের তাড়া ছিল, তাই রাস্তায় বসেই কাজটা করতে হয়েছে।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, পুরোপুরি নিয়ম মেনেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল রাজা দেবী (৫৫) নামে এক মহিলা ও তাঁর পুত্রবধূ মায়া কানওয়ারের (৩০)। বিদ্যুতের তারে আহত হয়েছিলেন রাজা দেবীর স্বামী পদম সিংহও। তাঁর চিকিৎসা চলছে যোধপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার রাজা দেবী ও মায়ার ময়নাতদন্তই করা হচ্ছিল রাস্তায় বসে।

তবে, এমন দৃশ্য নাকি বিরল নয় রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায়। এমনটাই দাবি গ্রামবাসীদের। উপযুক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অভাব যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মর্গের অভাব। তাই অধিকাংশ সময় রাস্তার উপর বসেই ময়নাতদন্তের কাজ করতে দেখা যায় স্বাস্থ্যকর্মীদের। পুলিশও এই ব্যাপারে উদাসীন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*