স্ক্রাব টাইফাস আক্রান্তের মৃত্যু, চিকিৎসায় অবহেলার তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

Spread the love

স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠল বেসরকারি এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনায় স্বাস্থ্য ভবনের পাশাপাশি পুলিশেও চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে এই ঘটনায় তদন্ত চাইছেন পরিজনরা। মৃত ওই ব্যক্তির নাম মহাদেব মণ্ডল। বয়স ৪৯ বছর। বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডাঙাপাড়ায়। এই রোগীর মৃত্যুর আগে স্বাস্থ্য ভবন এবং পুলিশের কাছে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, বহরমপুর লীলা হাসপাতাল থেকে ৪ নভেম্বর ভোর তিনটের সময় কলকাতার মুকুন্দপুরের বেসরকারি ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত মহাদেব মণ্ডলকে। এই হাসপাতালের CCU-তে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়।

হাসপাতাল থেকে পরিজনদের জানানো হয়, চিকিৎসা ব্যয় সাপেক্ষ হলেও ১১ নভেম্বর নাগাদ রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন। ধার করে এবং জমি বন্ধক রেখে এই হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন পরিজনরা। ৫ নভেম্বর রোগীকে CCU থেকে HDU-তে স্থানান্তরিত করা হয়। কারণ হিসাবে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে হাসপাতাল থেকে পরিজনদের জানানো হয়েছিল বলে ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয়।

অভিযোগপত্রে আরও জানানো হয়েছে, এরপর যে চিকিৎসকের অধীনে মহাদেব মণ্ডলের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল, সেই চিকিৎসক ছুটিতে চলে যান। তারপর থেকে চিকিৎসায় গাফিলতি শুরু হয়। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন থাকে। পরিজনদের বারবার অনুরোধের পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে নজর দেয়নি। রোগীকে এরপর ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়। ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয়, হাসপাতালের অবহেলার কারণে মহাদেব মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এই বিষয়টির অনুসন্ধান এবং মহাদেব মণ্ডলের সঠিক চিকিৎসার জন্য ওই অভিযোগপত্রে আর্থিক সহায়তার আবেদনও জানানো হয়।

এই অভিযোগ জানানোর পর 13 নভেম্বর (বুধবার) মহাদেব মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর এক আত্মীয় শরদ মণ্ডল। তিনি বলেন, পেশায় চাষি মহাদেব মণ্ডলের বাড়িতে রয়েছে ৯ মাসের শিশুপুত্র, স্ত্রী এবং অসুস্থ মা-বাবা। তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমরা রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন এই বিষয়ে তদন্তের ব্যবস্থা করেন‌, তা হলে সঠিক ঘটনা জানা যাবে। দোষীদের শাস্তি চাইছি আমরা।এই অভিযোগের বিষয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে, বক্তব্য জানা যায়নি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*