যৌন হেনস্থার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল জেনপ্যাক্ট ইন্ডিয়ার এক সিনিয়র এক্সিকিউটিভকে। মঙ্গলবার রাতে ওই ব্যক্তিরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। চরম লাঞ্ছনার কারণেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখও করেছেন তিনি।
ঘটনাটা ঘটেছে নয়ডায়। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই ব্যক্তিকে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখেন তাঁর স্ত্রী। বিছানার পাশেই পড়েছিল সুইসাইড নোট।
সুরজপুর থানার স্টেশন হাউস অফিসার মুনীশ চৌহান জানিয়েছেন, বছর পঁয়ত্রিশের ওই ব্যক্তি হরিয়ানার বাসিন্দা। দু’বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। নয়ডার সেক্টর ১৩৭-এ একটি আবাসনে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। ২০০৭ সালে প্রসেস ডেভলপার হিসেবে যোগ দেন জেনপ্যাক্ট ইন্ডিয়ায়। কয়েক বছরের মধ্যেই নিজের কর্মদক্ষতায় উঠে আসেন শীর্ষ পদে। দিন কয়েক আগে সংস্থার তরফে চিঠি দিয়ে ওই ব্যক্তিকে বরখাস্ত করেন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, কর্মস্থলে তিনি নাকি একাধিক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেছেন।
পুলিশকে মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী নির্দোষ ছিলেন। সে কথা তিনি সংস্থার কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন। তবে তাঁর অনুরোধ ধোপে টেকেনি। এই কারণে মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন তিনি।
অভিযোগ কতটা সত্যি সে বিষয়ে মুখ না খুললেও ওই কর্মীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে জেনপ্যাক্ট ইন্ডিয়া। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “আমাদের সংস্থার এক পদস্থ কর্তার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ছিল, তাই তদন্ত চলা পর্যন্ত তাঁকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।”
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিবারের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলেই তদন্ত শুরু হবে।
Be the first to comment