এক বাঙালির প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার কারণেই শিকে ছিঁড়েছিল তাঁর কপালে। ৯৬ সালে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটিতে জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পরই জনতা দল সেকুলার নেতা দেবেগৌড়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এ বার সেই বর্ষীয়ান নেতাই আরও এক বাঙালির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে সমর্থন জানালেন। জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
বিরোধী জোট গঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করেন। সারা দেশের বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে যে মমতা এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছেন তারও প্রশংসা করেন দেবেগৌড়া। তাঁর কথায়, “এনআরসি ইস্যুতে মমতার ভূমিকা আরও আগ্রাসী হয়েছে। এটা গোটা দেশের বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির কাছে ইতিবাচক।” সেবার অকংগ্রেসি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেও এ বার যে পরিস্থিতি অন্য তা বুঝেই পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবেগৌড়া বলেন, আগামী নির্বাচনে বিরোধী জোট গঠনে কংগ্রেসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এমনিতেই কর্নাটকের বিধানসভা ভোট বিরোধী দলগুলির কাছে মডেল হিসেবে উঠে এসেছে। জেডিএস-এর থেকে বেশি আসন পেয়েও কংগ্রেস তাদেরই নিঃশর্ত সমর্থন করায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন দেবেগৌড়া পুত্র কুমারস্বামী। সপ্তাহ দুয়েক আগে বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করাকে বিষ পানের সঙ্গে তুলনা করেন কুমারস্বামী। কিন্তু এই সাক্ষাৎকারে দেবেগৌড়া বুঝিয়ে দিলেন কংগ্রেস প্রশ্নে তিনি ছেলের সঙ্গে একমত নন। কুমারস্বামীর শপথের দিনই বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের ফ্রেম তৈরি হয়েছিল। রাহুল, সনিয়া, মায়াবতী, অখিলেশ, মমতা, সীতারাম থেকে সবাই ছিলেন সেই ফ্রেমে। কংগ্রেসের নতুন ওয়ার্কিং কমিটির প্রথম সভাতে সনিয়া গান্ধীও বলে দিয়েছিলেন এখন ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খার সময় নয়। ফলে এই সব সমীকরণকে মাথায় রেখেই দক্ষিণের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এই মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা অংশ।
Be the first to comment