কোন গাফিলতিতে চললো ভু্য়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প? জানতে কমিটি গঠন রাজ্যের

Spread the love

অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে তবেই ভ্যাকসিন নেওয়া যায়। ভ্যাকসিন নিলে দেওয়া হয় সার্টিফিকেট। এত নিয়ম কানুনের মধ্যেও কয়েক’শ মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হল ভুয়ো ভ্যাকসিন। প্রশাসনেরচোখে ধূলো দিয়ে একেবারে সরকারি ক্যাম্পে মোড়কে চলল সেই সব ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প। খাস কলকাতায় কী ভাবে এমন কাজ করলেন দেবাঞ্জন দেব? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে এ বার উত্তর খুঁজছে রাজ্য সরকার। তাই স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে তৈরি হচ্ছে চার সদস্যের কমিটি।

শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে চার সদস্যদের কমিটি তৈরির কথা জানানো হয়েছে। সেই কমিটিতে থাকবেন চারজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞ। মূলত ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েই উত্তর খুঁজবেন তাঁরা। ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে কার গাফিলতি ছিল, কী ভাবে এই ক্যাম্প করলেন দেবাঞ্জন, সেই বিষয় খতিয়ে দেখবেন ওই চার সদস্য। সব কিছু খতিয়ে দেখে তাঁরা রিপোর্ট জমা দেবেন স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। প্রয়োজনে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে।

ইতিমধ্যেই এই ভুয়ো টিকা-কাণ্ডের তদন্তে ১০ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে লালবাজার। গোটা ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের বিষয়টিই খতিয়ে দেখবেন সিটের সদস্যরা। অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে কাদের যোগাযোগ ছিল, কীভাবে মাস্ক, স্যানিটাইজার-সহ বিপুল পরিমাণ সামগ্রী সংগ্রহ করা হল, শহরের বিভিন্ন জায়গায় কী ভাবেই ভুয়ো টিকাকরণ কর্মসূচি চালাল দেবাঞ্জন, সেই সব বিষয়ই খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।

এ ছাড়া, লালবাজারের সিট গঠনের পরই কেন্দ্রীয় তদন্ত দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি লিখেছেন তিনি। সেই চিঠিতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির ঢালাও প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে বাংলার সরকার নিয়ে চেনা অসন্তোষের সুর শুভেন্দুর সেই চিঠিতে। কী ভাবে স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*