প্রতিদিনই যেভাবে নতুন নতুন প্রতারণার ঘটনা সামনে আসছে ততই দেবাঞ্জনের জালিয়াত করার ক্ষমতা দেখে অবাক হচ্ছেন তদন্তকারী এবং সাধারণ মানুষ। তবে এবার আরও অবাক করে দিয়ে দেবাঞ্জন নাকি তদন্তকারীদের জানান যে তিনি নিজেই প্রতারিত হয়েছিলেন নিজের দাদার কাছে। সেই দাদাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ধৃত কাঞ্চন দেব সম্পর্কে দেবাঞ্জনের খুড়তুতো দাদা হন। তবে কীভাবে কাঁঞ্চনের প্রতারণার শিকার হন দেবাঞ্জন?
দেবাঞ্জন যে ভুয়ো আইএএস, তা জানতেন কাঞ্চন। দেবাঞ্জন তদন্তকারীদের জানান, অফিসের কোনও কিছু কেনার হলে, কোনও টাকার প্রয়োজন হলে, তাঁর কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করতেন কাঞ্চন। এদিকে তদন্তকারীদের দেবাঞ্জন জানান, ভুয়ো টিকা কাণ্ডের যাবতীয় তথ্য জানতেন কাঞ্চন। জানা যায় জেরার মুখে দেবাঞ্জন বলেন, ‘আমি তো নিজেই প্রতারিত। দাদাই প্রতারণা করত আমার সঙ্গে।’ এরপর দেবাঞ্জনের বয়ানের প্রেক্ষিতে তাঁ দাদা কাঞ্চন দেবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে ভুয়ো টিকা কাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম শরৎ পাত্র। তিনি নর্থ সিটি কলেজে ভুয়ো টিকা দিয়েছিলেন পড়ুয়া এবং প্রফেসরদের। শরৎ পাত্র জানান তিনি নিডে অষ্টম শ্রেণি পাশ। এদিকে টিকা নিয়েও নাকি তাঁর মনে সন্দেহ ছিল। তবে দেবাঢ্জনের উপর কথা বলার সাহস হয়নি তাঁর। জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জন, কাঞ্চন ও শরৎকে আজকে আলিপুর আদালতে পেশা করা হবে। এরপর তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত লালবাজারে দেবাঞ্জনের সাগরেদ ও কর্মী মিলিয়ে দশজনের বেশি লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দারা।
এদিকে দেবাঞ্জনের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় গোয়েন্দারা। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক সিমকার্ড, ডেবিট কার্ড, একাধিক ব্যাঙ্কের চেকবুক-সহ অনেক নথিপত্র। ধৃত দেবাঞ্জন দেব পুলিশকে জানায়, একাধিক সরকারি এজেন্সিগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করত সে। ফলস্বরূপ একাধিক সরকারি স্ট্যাম্প পেপার ও লেটারপ্যাড পেত। ফলে গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই ঘটনায় আরও অনেকেই যুক্ত রয়েছে।
Be the first to comment