ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রে এবার মুখোমুখি নির্বাচনী লড়াইয়ে নামলেন দুই আইপিএস। একজন তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবির অন্যজন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh) । যদিও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ডেবরা বিধানসভায় তৃণমূলকে পিছনে ফেলে বিজেপি এগিয়ে ছিল। যদিও ২০১৬ সালে তৃণমূল ডেবরা বিধানসভা নিজেদের দখলে রাখেন। তাই এবার ডেবরা বিধানসভায় সবার নজর।
ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রটি পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তরগত একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ২২৯ নং ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রটি ডেবরা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এর অন্তর্গত। ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রটি ৩২ নং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আগে ডেবরা কেন্দ্রটি পাঁশকুড়া লোকসভা কেন্দ্রর অন্তর্গত ছিল।
১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের দখলে ছিল। ১৯৭২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ডেবরা কেন্দ্রটি ছিল সি[পিএম-এর দখলে। তারপর ২০১১ সালে রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম সরকারের পতন ঘটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে। স্বাভাবিকভাবেই ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রটি চলে যায় তৃণমূলের দখলে। এখনও পর্যন্ত এই ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলেই রয়েছে। তবে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ডেবরা তৃণমূল না বিজেপি কার দখলে আসে সেটাই দেখার। কারণ রাজনীতি এখন একটা সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ডেবরা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপি-র হয়ে যে দুই প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন তাঁরা দুজনই আইপিএস। তৃণমূল প্রার্থী সদ্য আইপিএস-এর কাজে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। হুমায়ুন কবির বলেছেন, পুলিশের চাকরি করার সময় তিনি যা দেখেছেন, তাঁরা যা উপলব্ধি হয়েছে রাজনীতি করতে এসে সেই ত্রুটি তিনি মোচন করবেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রে এবারের বিজেপি প্রার্থী একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য আইপিএস ভারতী ঘোষ। এক সময় জঙ্গল মহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তির দুটি হিসেবে এই ভারতী ঘোষ কাজ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের আইপিএস ছিলেন এই ভারতী ঘোষ। তবে সেই সম্পর্কে তিক্ততা এসেছে। তিনি অনেক আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন সভা সমিতিতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসন সম্পর্কে কঠোর সমালোচনাও করছেন।
Be the first to comment