যোশিমঠের তুষারধসে বিধ্বস্ত ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়ত। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে ১৫০ জন নিখোঁজ। তাঁরা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। মনে করা হচ্ছে জলস্রোতে ভেসে যেতে পারেন তাঁরা। তবে এখও কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
ইতিমধ্য়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়তের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনাটি নজরে রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে আইবিপির জওয়ানরাও। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে তাঁরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চলছে উদ্ধারকাজ। শুরু হয়েছে মাইকিং। নদীর পাড়ে যাদের বাড়ি তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ। টুইট করে অমিত শাহ এ কথা জানিয়েছেন। এছাড়া উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং মোদীও।
ইতিমধ্যেই আরও ২টি বাঁধে ফাটল দেখা গিয়েছে। বিজনৌরে খোলা হয়েছে গঙ্গার বাঁধ। আইডিবিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০ জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ২টি টিম কাজ করছে। একটি বাঁধ থেকে স্টাফদের সরানোর কাজ করছে। বাঁধ যেখানে ভেঙেছে, সেখানে সেখানে কোনও চিহ্ন নেই। এক টিম ওখানে রয়েছে। অন্য টিম প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে আরও টিম রওনা হয়েছে ঘটনাস্থলের দিকে। হরিদ্বার, ঋষিকেশ ও দেরাদুনে জারি হয়েছে সতর্কতা। মনে করা হচ্ছে বিকেলের দিকে হরিদ্বারে বাড়তে পারে জলস্তর। তাই সেখান থেকেও এলাকা খালি করার কাজ চলছে। তুষারধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। পর্যটকদের এয়ারলিফ্ট করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সহ সমস্ত এজেন্সিকে এখন হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে তুষার ধসের ফলে নদীতে যেভাবে জলস্তর বাড়াতে শুরু করেছে তাতে আগামী ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে জল বের করতে হবে। তা না হলে, ক্রমাগত গঙ্গার জলস্তর বাড়তে থাকলে হরিদ্বার ও ঋষিকেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
Be the first to comment