যোশিমঠে তুষার ধস, ভাঙল ২টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা

Spread the love

আচমকাই তুষার ধস যোশিমঠে। এর জেরে বাড়ল ধৌলিগঙ্গা লদীর জলস্তর। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই তুষার ধসের জেরে ক্ষতি হয়েছে বেশ কয়েরটি হিমবাহের। তুষার ধস ও ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তর বাড়ার ফলে স্থানীয় গ্রামগুলির ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা। ফলে খালি করা হচ্ছ আশপাশের গ্রাম। নিরাপদ দূরত্বে সরানো হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে এই তুষারধসের ফলে ঋষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্য়াপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই বাঁধ ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। চামোলি জেলার তপোবনেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হরিদ্বার ও ঋষিকেশে বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর। দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সহ সমস্ত এজেন্সিকে এখন হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে তুষার ধসের ফলে নদীতে যেভাবে জলস্তর বাড়াতে শুরু করেছে তাতে আগামী ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে জল বের করতে হবে। তা না হলে, ক্রমাগত গঙ্গার জলস্তর বাড়তে থাকলে হরিদ্বার ও ঋষিকেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

এর মধ্য়ে আবার দুই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেই কাজ চলছিল। ফলে সেখানে মজুত ছিলেন কয়েকশো শ্রমিক। ফলে প্রাণহানির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে প্রাণহানি কতজনের হয়েছে ও ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। এখনও এনিয়ে চূড়ান্ত কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রাজ্য ও কেন্দ্রের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। স্থানীয়দের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার। চলছে উদ্ধারকাজ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। তার আগে তিনি জানিয়েছেন, এনিয়ে কোনও গুজবে যেন কেউ কান না দেন। কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখার পরই বলা হবে।

জলের স্রোত পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে তীব্র বেগে নেমে আসছে। ফলে স্রোতের রাস্তায় পাথর ভেঙে সেগুলিও নিয়ে নেমে আসছে জলস্রোত। গোটা জেলায় জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। রাজ্য ও কেন্দ্রের তরফে এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এর জেরে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ ভাঙার খবরে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চালু হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*