CAA বিরোধী ও সমর্থনকারীদের সংঘর্ষে দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২১। মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩। বুধবার সকালে গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম শতাধিক। পাশাপাশি চারটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জাফরাবাদ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের। আরও কয়েকজনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩। সোমবার থেকে CAA ইস্যু নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৷ একে অ্রন্যের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করে উত্তেজিত জনতা ৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দোকান ও গাড়িতে। ঘটনায় একজন পুলিশকর্মী-সহ নয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিল ১৫০ জনের উপর। প্রায় ৪৮ জন জখম পুলিশকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনজন দমকলকর্মীও জখম হয়েছিলেন ৷
দিল্লির এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন। গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিবাসীকে শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেন ৷ তিনি বলেন, উত্তর-পূর্ব দিল্লির উত্তপ্ত পরিবেশ নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত ৷ কালকের ঘটনায় বহু পুলিশ ও সাধারণ জনতা আক্রান্ত হয়েছেন ৷ কিছু মানুষ প্রাণও হারিয়েছেন ৷ অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশের সংখ্যায় ঘাটতি রয়েছে ব্যাপক মাত্রায় ৷
এছাড়া উপর মহলের অনুমতি না মেলা পর্যন্ত পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না ৷ আমি ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গেও কথা বলেছি যাতে শান্তিপূর্ণ মিছিলগুলিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা থাকে ৷ এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলিতেও অনুরোধ করা হয়েছে প্রস্তুত থাকতে এবং আহতদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ৷ দমকল বিভাগকেও পুলিশের সঙ্গে সংযোগ বজায় রেখে দ্রুত ঘটনাস্থানে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসাত্মক ঘটনার পর সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। দিল্লির কমিশনার(উত্তর-পূর্ব) ও দিল্লি পুলিশের নবনিযুক্ত বিশেষ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তবকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
Be the first to comment