খুলে দেওয়া হবে শপিং মল, বাজার, তবে খোলার জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হবে। এমনটাই জানিয়ে দিল দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। ১৭ মের পর চতুর্থ দফার লকডাউনেই খুলে যাবে শপিং মল আর বাজার। বৃহস্পতিবার এক প্রস্তাবে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার জানায় শপিং মল ও বাজার খুলে দেবে প্রশাসন কিন্তু, শর্তসাপেক্ষে। এছাড়াও খুলে দেওয়া হবে বাস পরিষেবা ও মেট্রো পরিষেবা।
সেক্ষেত্রে ট্যাক্সিতে দুজন যাত্রী ও বাসে ২০ জন যাত্রীর বেশি ওঠানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মেট্রোর ক্ষেত্রে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। দিল্লি সরকার জানিয়েছে নির্মাণ কাজও শুরু হবে এবার। দিল্লি জুড়ে নির্মাণ কর্মীদের কাজ শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। পিটিআইকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দিল্লি জুড়ে নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে শপিং মল ও বাজার খুলে দেওয়ার সময় মানতে হবে জোড় বিজোড় নীতি।
পরবর্তী দু তিন দিনের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরি করা হবে। সোমবার থেকেই বাজার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দিল্লি প্রশাসন। অনলাইনে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে লকডাউনে কি কি শিথিলতা আনা হবে, তা নিয়ে খসড়া তৈরি করা হচ্ছে।
এর আগে, দিল্লি সরকার জানিয়েছিল সবজি ও ফলের বাজারে জোড়-বিজোড় নীতি কার্যকর করতে চায় তারা। এর ফলে একদিন অন্তর সবজি ও ফল বিক্রি হবে বাজারে৷ এক সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকারে দিল্লির উন্নয়ন মন্ত্রী গোপাল রাই জানান, হোলসেল বাজারে এই নিয়ম লাগু হবে৷ আলাদা আলাদা সময়ে সবজি ও ফল বিক্রি করতে হবে বিক্রেতাদের৷ সকাল ৬টা থেকে ১১টা অবধি সবজি বাজার খোলা থাকবে৷ ১১টার পর আর কোনও সবজি বাজার খোলা রাখা যাবে না৷ ফল বিক্রির বাজার খুলবে বেলা ২টো থেকে ৬টা অবধি৷
এদিন এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরই জোড়-বিজোড় নীতি কার্যকরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ দিল্লিতে পাঁচটি প্রধান সবজি ও ফলের হোলসেল বাজার আছে৷ এর মধ্যে রয়েছে আজাদপুর মান্ডি, গাজিপুর মান্ডি এবং ওখলা মান্ডি৷ নজফগড় ও নারেলাতেও দুটি আনাজ মান্ডি রয়েছে৷ সেখানে ওই নিয়ম লাগু হবে৷ সবজি ও ফল মান্ডিতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কিনা তা মনিটর করার জন্য স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে৷
অন্যদিকে, দেশে ১৭ মে-র পর থেকে লকডাউন ৪.০ শুরু হতে চলেছে। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘১৮ মে-র আগেই নতুন লকডাউনের নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হবে।’ এ দিনের ভাষণে দেশের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী। মোট ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করলেন তিনি, যা ভারতের জিডিপি-র প্রায় ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment