দূষণে নাজেহাল রাজধানী। বায়ুদূষণের গুণগত মান পর্যবেক্ষণের আজ চতুর্থ দিন। রাজ্যের রাজধানী ও দূষণপ্রবণ এলাকা গুলিতে বায়ু দূষণের ঝুঁকি মোকাবিলায় পথে নেমেছে সিসটেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (SAFAR) ৷ আজ তার চারদিন পরও দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মানের কোনও পরিবর্তন হল না। বায়ুর গুণগত মানের সূচক অর্থাৎ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) অনুযায়ী বাতাসের গুণগত মানের সূচক দাঁড়িয়েছে ২৬৬-তে। বেশ কয়েকটি জায়গায় যার পরিমাণ আরও বেশি।
তবে আশা করা যায় আগামীকাল গুণগত মানের সূচক ‘খারাপ’ থেকে ‘মাঝারি’ হতে পারে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) অনুযায়ী, ০-৫০ এর মধ্যের AQI ‘ভালো’, ৫১-১০০ ‘সন্তোষজনক’ , ১০১-২০০ ‘মাঝারি’, ২০১-৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১-৪০০ ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১-৫০০ ‘মারাত্মক’ / ‘বিপজ্জনক’ বিভাগের আওতায় চিহ্নিত করা হয় ৷
রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দিল্লির ধীরপুরে AQI ছিল ৩১৩ ও মথুরা রোডে ছিল ৩০৬ ৷ যা ‘অত্যন্ত খারাপ’ বিভাগের মধ্যে পড়ে ৷ পুসাতে সূচক ২৪৫ , দিল্লি বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩-এ ২৯০ এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী জায়গায় ৩০০ ছিল ৷ সংস্থাটি স্থানীয়দের কাশি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে হাঁপানি রোগীদের ওষুধ প্রস্তুত রাখার ও হৃদ রোগীদের অস্বাভাবিক ক্লান্তির লক্ষণ দেখলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছে ৷
১৫ই অক্টোবর থেকে বায়ু দূষণের ঝুঁকি মোকাবেলায় পদক্ষেপগুলি দিল্লি ও তার আশেপাশের গুরুগ্রাম, নয়ডা, গাজিয়াবাদ ও ফরিদাবাদ অঞ্চলে গ্রেড রেসপন্স অ্যাকশন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে কার্যকর হবে ৷ যা ২০১৭ সালে দিল্লি-NCR-এ প্রয়োগ করা হয়েছিল ৷
Be the first to comment