মনে মনে বোধহয় এই ম্যাচটার জন্যই অপেক্ষায় ছিলেন তিনি ৷ পুরনো দলকে সামনে পেতেই উগড়ে দিলেন উপেক্ষার সব জবাব। ব্যাট হাতে পৃথ্বী-ওয়ার্নারদের দাপটের পর 4 উইকেট নিয়ে নাইট রাইডার্সকে গুঁড়িয়ে দিলেন চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব। ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির বিরুদ্ধে ১৭১ রানেই গুটিয়ে গেল পার্পল ব্রিগেড ৷ ৪৪ রানে মরশুমের দ্বিতীয় হার হজম করল কেকেআর ৷
দিল্লির চাপিয়ে দেওয়া পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে শুরু থেকে পালটা আক্রমণে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না নাইট ব্যাটারদের। আর সেই ফায়দাই তুললেন দিল্লির বোলাররা ৷ দুই ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়ার, অজিঙ্ক রাহানেকে ফেরান খলিল আহমেদ ৷ তৃতীয় উইকেটে ভালই জমেছিল অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং নীতিশ রানার জুটি ৷ তখনই আসরে নামেন কুলদীপ ৷ প্রথমে ফেরান ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শ্রেয়সকে ৷ এরপর একে একে চায়নাম্যানের ঝুলিতে গত ম্যাচের নায়ক প্যাট কামিন্স, সুনীল নারিন এবং উমেশ যাদব ৷
তবে রানাকে আউট করে এদিন নাইটদের সবচেয়ে সফল জুটিতে ভাঙন ধরান ললিত যাদব ৷ রানা আউট হন ২০ বলে ৩০ রান করে ৷ তৃতীয় উইকেটে যোগ হয় ৬৯ রান ৷ ৫টি চার, ২টি ছয়ে ৩৩ বলে ৫৪ করেন অধিনায়ক ৷ রাসেলের ২১ বলে ২৪ কাজে আসেনি ৷ দিল্লি বোলারদের দাপটে বেগুনি শিবিরের অল-আউট হওয়া ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ৷ শেষমেশ ১৯.৪ ওভারে ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় নাইটদের ইনিংস ৷ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের (লখনউ-রাজস্থান) উপর নির্ভর করছে নাইটদের শীর্ষে থাকার বিষয়টি ৷
ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন দিল্লি ব্যাটাররা ৷ কামিন্স-উমেশদের বেধড়ক ঠেঙিয়ে নাইটদের বিরুদ্ধে রানের পাহাড়ে দিল্লি ৷ প্রথম ম্যাচে রান না-পেলেও নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই উজ্জ্বল অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ বিশ্বজয়ের নায়ক ৷ ৪৫ বলে ৬১ রান আসে ওয়ার্নারের ব্যাটে ৷ আরও বিধ্বংসী পৃথ্বী করেন মাত্র ২৯ বলে ৫১ ৷ ভারতীয় ওপেনারের ইনিংসে ছিল ৭টি চার, ২টি ছক্কা ৷
অধিনায়ক ঋষভ পন্থ করেন ১৪ বলে ২৭ রান ৷ ক্রিজে ঝড় তোলেন অক্ষর প্যাটেল এবং শার্দূল ঠাকুর ৷ ১৪ বলে অপরাজিত ২২ করেন অক্ষর ৷ শার্দূল খেলেন ১১ বলে ২৯ রানের দুরন্ত ক্যামিও ইনিংস ৷ ব্যাটারদের সম্মিলিত প্রয়াসে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২১৫ রান তোলে দিল্লি ৷
Be the first to comment